মানব বার্তা ডেস্ক: চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ভিন্ন রাষ্ট্রকে ব্যবহার করার অনুমতি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব- বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে ঢাকা প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে বৃহস্পতিবার এক বিরাট শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ হানিফ।
মানববন্ধনে বক্তাগণ গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ভিন্ন রাষ্ট্রকে ব্যবহার করতে দেয়া স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য মহা বিপদজনক।
ইনসানিয়াত বিপ্লবের নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রদায়িক রামরাষ্ট্রের অন্যায় ও আধিপত্য চাই না এবং দেশ ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব পরিপন্থী কোন কিছু মানি না। তাঁরা বলেন, সর্বজনীন মানবিক ইন্ডিয়ার সহযোগী হবো কিন্তু হিংস্র সাম্প্রদায়িক রামরাষ্ট্র ইন্ডিয়ার সহযোগী হবো না।
ইনসানিয়াত বিপ্লবের নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা ইন্ডিয়ার আসামে ৪০ লক্ষ বাংলাভাষীর নাগরিকত্ব বাতিল করে মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে এবং সারা ইন্ডিয়াব্যাপী অন্যান্য ধর্মের মানুষদের অধিকার হরণ করে নির্মম পাশবিক অত্যাচার করে যাচ্ছে তাদের সহযোগীতা করা মানবতা বিরোধী অপশক্তির সহযোগী হওয়া।
ইনসানিয়াত বিপ্লবের নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, উজানে ফারাক্কা তিস্তা সহ সমস্ত নদীতে বাদ দিয়ে ইন্ডিয়া বাংলাদেশের ভূপ্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে এদেশ ও জনগণের জীবনকে মহা বিপন্ন করে তুলেছে। তাঁরা বলেন, সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া এবং অবিরত হত্যাকান্ড বন্ধুত্ব নয় শত্রুতার পরিচায়ক।
ইনসানিয়াত বিপ্লবের নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রীয় প্রশ্নে এক পক্ষীয় সহযোগীতা দাসত্বের সামিল উল্লেখ করে বলেন, রাষ্ট্রীয় সহযোগীতা অবশ্যই দ্বিপক্ষীয় হতে হবে এবং দেশের স্বার্থ ও জনগণের নিরাপত্তা সব স্বার্থের উর্ধ্বে থাকতে হবে।
ইনসানিয়াত বিপ্লবের নেতৃবৃন্দ দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে এ ভয়ংকর আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আকুল আবেদন জানান।
কেবলমাত্র নিম্নোক্ত শর্তের ভিত্তিতে বন্দর ব্যবহার ও সকল ট্রানজিট সুবিধা প্রদান ও দ্বিপক্ষীয় সকল সহযোগীতায় আমরা আগ্রহী
=======
০১) ইন্ডিয়াকে একক ধর্মের স্বৈরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ সর্বজনীন মানবিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।
০২) ধর্ম-জাতি-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সব মানুষের সমান মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
০৩) ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বাহিরে ধর্ম-জাতি নির্বিশেষে সবার উপর জুলুম নিপীড়ন বৈষম্য উচ্ছেদ বঞ্চণা বন্ধ করতে হবে এবং কাশ্মীরে হত্যাকা- নিপীড়ন বন্ধ করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
০৪) আসামে অন্যায়ভাবে হরণকৃত ৪০ লক্ষ নাগরিকের নাগরিকত্ব পুণর্বহাল করতে হবে এবং কাউকে বিতাড়ণ করা যাবে না।
০৫) প্রতিবন্ধকতা মুক্তভাবে উজানে সকল নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ চালু রাখতে হবে, তিস্তা সহ সকল বাঁধ খুলে দিতে হবে এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।
০৬) পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদি সন্ত্রাসবাদিদের মদদ ও আশ্রয় দেয়া যাবে না, বাংলাদেশের গণমানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিশেষ কোন রাজনৈতিক অন্যায় পৃষ্টপোষকতা দিয়ে অবৈধ রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রন করা যাবে না এবং দেশের স্বাধীন রাজনৈতিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা করা যাবে না।
০৭) বিকল্প সড়ক নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত কেবল সমুদ্র নদীপথে মালামাল পরিবহন করতে হবে এবং প্রয়োজনে বিশেষ নদীপথ তৈরি করতে হবে।
০৮) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত পর্যন্ত কেবলমাত্র বাংলাদেশী জাহাজ ও পরিবহন ব্যবহার হবে এবং সীমান্তের ওপার থেকে ইন্ডিয়ার পরিবহন ব্যবহৃত হতে হবে।
০৯) কেবলমাত্র খাদ্য ও ওষুধ যেতে পারবে এবং কোন সামরিক সরঞ্জাম বাংলাদেশকে ব্যবহার করে এ পথে আনা যাবেনা।
১০) আমদানি শুল্ক বন্দর শুল্ক ও পরিবহন শুল্ক যথাযথ ভাবে ধার্য করতে হবে।