২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

আঁধার মূর্খতার ধারা নারী দিবস প্রসঙ্গে -আল্লামা ইমাম হায়াত

 

নারী বা পুরুষ এসব লিংগবাদি বস্তুবাদি পরিচয় কোনো মানুষের আসল পরিচয় মনে করা মানুষ হিসেবে জীবনের পূর্ণাঙ্গতা অস্বীকার করা।লিংগবাদি বস্তুবাদি ভাবধারায় নারী বা পুরুষ এসব পরিচয়কে তথা কোনো বস্তু বা লিংগ ইত্যাদিকে অস্তিত্বের মূল মনে করা জীবনের সত্য অস্বীকার করে বস্তুবাদি মিথ্যার আঁধারে নিমজ্জিত হয়ে আত্মিক মৃত্যু বরণ করা।

মানব জীবন স্বীকার করলে জীবনের পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে হবে এবং জীবনের অনেক দিক ও পূর্ণাঙ্গতা অস্বীকার করে কেবল কোন একটি দিককেই মূল মনে করে সে ভিত্তিতেই আত্মপরিচয় জীবন ধ্বংসাত্মক।

জীবনের সত্য ভুলে ও জীবনের পূর্ণাঙ্গতা এবং বস্তুর উর্ধে মানবসত্তা ভুলে নিজেকে বস্তুবাদি মিথ্যা ও মূর্খতার আঁধার চেতনায় কেবল নারী বা কেবল পুরুষ বা কোনো প্রকার বস্তুবাদি জাতীয়তাবাদি মনে করা জীবনের সত্য ও জীবনের স্রষ্টার সম্পর্ক অস্বীকার করা। কারণ জীবন কোনো বস্তুর ভিত্তিতে নয়, জীবন কেবল জীবনের দয়াময় স্রষ্টার নামে ও স্রষ্টার প্রত্যক্ষ আলো মহান রেসালাতের আলোকধারায় চলবে।

কোনো বস্তুর দাসত্ব বা লিংগের দাসত্ব মানবাত্মা আঁধারে নিমজ্জিত করে জীবনের গতিধারা রুদ্ধ করে দেয়। কোনো বস্তুর দাস বা লিংগের দাস তথা কোনো বস্তুবাদি মানুষ নয়, মানবসত্তা হারিয়ে আঁধারে নিমজ্জিত বিকৃত অমানুষ হয়ে যায়।

জীবন ও মানবতার বিরুদ্ধে লিংগবাদি দিবস নারী দিবস। নারী দিবস মা বোনদের মর্যাদা অধিকার রক্ষা নয় ধ্বংস করা, যেখানে মানুষ পরিচিতির উর্ধে নারী বা লিংগবাদি বস্তুবাদি পরিচয় মূখ্য হয়ে মানুষ পরিচিতি ও মর্যাদা বিলুপ্ত হয়ে যায়। মা বোনদের মানুষ অস্তিত্ব, মানবিক মর্যাদা ও মানবিক সাম্য এবং মানবিক অধিকার অস্বীকার ও উৎখাত করে আত্মিক অন্ধত্ব ও মানসিক দাসত্বে আবদ্ধ করে ধ্বংস করার এক অপকৌশল নারী দিবস।

নারী দিবস মানবসত্তার অস্বীকার। নারী দিবস জীবনের অস্বীকার ও অপমান। নারী দিবস মানবতা বিরোধী অপরাধ ও অনাচার। নারী দিবস মা বোন দেরকে মানুষ নয় কেবল নারী হিসেবে স্মরণ করিয়ে লিংগবাদি করে রাখার বস্তুবাদি ষড়যন্ত্র। নারী দিবস মনস্তাত্মিক ভাবে কেবল নারী বানিয়ে বস্তুর উর্ধ্বে মানবিক আত্মসত্তা ও আত্ম পরিচয় বিলুপ্ত করে জীবনের সত্য উৎখাতের কারসাজি।

ঈমানের কলেমার আলোকচেতনায় ও সত্যের দৃষ্টিতে নারী বা পুরুষ এসব কেবলই বাহ্যিক বিষয় যার ভিত্তিতে মানুষের মূল আত্মপরিচয় ও আত্মসত্তা হতে পারে না। কলেমা তথা সত্যের দৃষ্টিতে ভাষা-গোত্র-লিংগ-বর্ণ-বর্ডার-দেশ-রাষ্ট্র কোনো বস্তুর ভিত্তিতে জীবনের উর্ধ্বে মানব জীবনের মূল পরিচয় বা সত্তার ভিত্তি হতে পারে না এবং এসবের ভিত্তিতে কোনো বস্তুবাদি বিভেদ বৈষম্য বঞ্চনা জীবনের বিরুদ্ধে অন্যায় অবিচার অপরাধ।

কলেমার চেতনার আলোকে আত্মা ও জীবন বস্তুর ভিত্তিতে নয়- একমাত্র তাওহীদ ও রেসালাতের ভিত্তিতে। সকল বস্তুগত বাহ্যিকতার উর্ধ্বে সবার প্রাথমিক পরিচয় ও মর্যাদা মানুষ বা মানবসত্তা, এর উর্ধ্বে সত্য ভিত্তিক চুড়ান্ত পরিচয় মুমিন যা সত্যপ্রাপ্ত আলোকিত মানুষ।

মানুষ হিসেবে জীবনের শুরু এবং সত্য ও জ্ঞানের উৎস এবং আল্লাহতাআলার সকল গুণ-জ্ঞান-আলোর সংযোগ ও কেন্দ্র সত্যের অনন্ত ধারা রেসালাতে ইলাহির পবিত্র নামে সংযুক্ত হতে পারলে মানবসত্তা মুমিনসত্তায় উপনীত হয়। মুমিনসত্তা আল্লাহতাআলা ও তাঁর মাহবুব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেমের ধারায় ও নৈকট্য সাধনায় বেলায়াতের অসীম আকাশে উড্ডীন হয় এবং জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের দিকে এগিয়ে যায়।

#আল্লামা_ইমাম_হায়াত

(বস্তুর উর্ধ্বে মানবসত্তার প্রবক্তা ও বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তক)

(Visited ৫০ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

হযরত খাজাবাবা (রঃ) ও জামে আওলিয়া কেরামের পথ পূণরুদ্ধার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল আলিম এর সহধর্মীনি নুরজাহান বেগম আর নেই
বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে এ জাতি কলঙ্কিত হয়েছে বিশ্ব দরবারে
বেসরকারি চাকরিজীবীদের বোবা কান্না
ফজলে রাব্বীর আসনে নৌকার হাল ধরতে চান যারা
মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত