ফেনী প্রতিনিধি:
৪র্থ দফায় আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালতের চেম্বার জজ আদালত। সোমবার শুনানি শেষে বাতিল হওয়া দুই জনের প্রার্থীতা ফিরে পাওয়া আদেশ স্থগিত করে ৩১ মার্চ ফুল বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করেন চেম্বার জজ আদালতের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আদালত সূত্র জানায়, ৪র্থ দফার উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে ছাগলনাইয়া উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, এডভোকেট এসএম শহীদুল্লাহ ও আবদুল আলিম চেয়ারম্যান পদে ৪ মার্চ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে ৬ মার্চ বাছাইয়ের দিন এডভোকেট এসএম শহীদুল্লাহ ও আবদুল আলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটাণিং কর্মকর্তা। এ আদেশের বিপক্ষে দুই প্রার্থী উচ্চ আদালতে আপিল করলে ১৪ মার্চ উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারক জেবিএম হাসান ও খায়রুল আলম তাদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেন। এর আগে ওইদিন একক প্রার্থী হওয়ায় মেজাবাউল হায়দার সোহেলকে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কর্মকর্তা। এদিকে ১৯ মার্চ নিজেকে বিজয়ী দাবী করে দুই প্রার্থীর বৈধতার আদেশের চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বর্তমান চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল। ২৫ মার্চ সোমবার শুনানি শেষে চেম্বার জজ আদালত এডভোকেট এসএম শহীদুল্লাহ ও আবদুল আলিমের প্রার্থীতার বৈধতা আদেশ স্থগিত করে আগামী ৩১ মার্চ ফুল বেঞ্চে এবিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন করেন। মেজবাউল হায়দার সোহেলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেয়া এডভোকেট আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, মহামান্য আদালত দুই প্রার্থীর বৈধতার আদেশ স্থগিত করেন। আদালত মেজবাউল হায়দার সোহেলের বিজয়ী হওয়ার আদেশ বহাল রাখেন। ৩১ মার্চ ফুল বেঞ্চে শুনানি হলেও ওই দিন স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন হবে না। এছাড়াও শুনানিতে অংশ নেন সাবেক আইনমন্ত্রী এডভোকেট শফিক আহাম্মদ, এটনি জেনারেল মাহবুবুল আলম, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন ও সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট ওয়াজি উল্যাহসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবি। এ বিষয়ে মেজবাইল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, আদালত দুই প্রার্থীর বৈধতার আদেশ স্থগিত করেছে। আমি আশা করছি ৩১ মার্চ ফুল বেঞ্চে বিষটি নিস্পত্তি হবে।