চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। শনিবার মেহের উত্তর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে শাহরস্তি থানার ওসি শাহ আলম জানান। একইদিন মেয়েটির (২০) মা বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। আটক দুজন হলেন জিহাদ (১৮) ও ফাহিম (২০)। মামলায় অভিযোগ করা হয়, মেয়েটি শনিবার ভোররাতে সেহরি খাওয়ার পর বাড়ির আঙিনায় আম কুড়াতে যান। ফজর নামাজের পরে তাকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের লোকজন।
পরে ফজর নামাজ শেষে মসজিদ থেকে লোকজন বাড়ি যাওয়ার পথে আমুজান এলাকার বাগান বাড়িতে মেয়েটিকে কাঁদতে দেখেন এবং পাশে দাঁড়ানো এক যুবক থেকে তাকে আটক করেন। ওই সময় মেয়েটির কাপড় খোলা ছিল। ওসি শাহ আলম বলেন, লোকজন জিহাদকে পিটুনি দিলে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে এবং ফাহিম নামে আরেকজনের নাম বলে। পরে বাগানের ভেতর থেকে সিএনজি চালক ফাহিমকেও আটক করা হয়।
ওসি জানান, আটকদের পিটুনি দিয়ে দিয়ে কালিয়াপাড়ায় এনে শাহরাস্তি থানায় খবর দেওয়া হয়। শাহরাস্তি থানার এসআই আবদুল আউয়াল দুই ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। আটক জিহাদ চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার চন্দিয়াপাড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির মৃত ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে এবং ফাহিম একই উপজেলার আমুজান গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। ফাহিম পেশায় সিএনজি চালক।
আটক জিহাদ বলেন, “ফাহিম মেয়েটিকে আম কুড়াতে দেখে আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে মুখে কাপড় বেঁধে সিএনজিতে করে কচুয়া উপজেলার আমুজান বাগানে নিয়ে যাই।” ওসি শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় শাহরাস্তি থানায় মেয়ের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আটক দুই ধর্ষককে আদালতে পাঠানো হবে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে চাঁদপুর পাঠানো হয়েছে।