বিশেষ প্রতিনিধি:
ফেনীর ফূলগাজি উপজেলায় ক্ষুদ্র এক ব্যবসায়ীর দোকানে মে মাসে ৫৫ ইউনিট বিদ্যুতের বিল এসেছে ৩৪,৭৭০ টাকা। রবিবার উপজেলার মুন্সীরহাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মুন্সীরহাট বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন মজুমদার। গত এপ্রিল মাসে তার দোকানের বিদ্যুৎ বিল আসে ৬ হাজার ৭শ ২৮ টাকা। এমন ভুতুড়ে বিল দেখে ফুলগাজি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলে তাকে মিটার পরিবর্তন করতে বলা হয়। পরবর্তীতে তিনি প্রায় ৭ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করে নতুন মিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন। কিন্তু নতুন মিটারে মে মাসে ৫৫ ইউনিট বিদ্যুতের বিল আসে ৩৪ হাজার ৭শ ৭০ টাকা। কেন এমন হচ্ছে তা জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন বলেন, “আমার সামান্য একটি দোকান। গত মাসেও একবার বেশি বিল দিয়েছি। এখন আবার এতো টাকা দিতে হলে ভিটে-বাড়ি বিক্রি করতে হবে”।
তবে, শুধু ইকবাল হোসেন একাই নন। একই সমস্যায় পড়েছেন এলাকার আরো অনেকে। বাসুড়া গ্রামের গ্রাহক রমজান আলী জানান, তাকে দুইবারে মে মাসের বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। স্থানীয় একটি ইট ভাটাতেও ৩৫ হাজারের জায়গায় ৭০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, জুন মাসে কেপিআই বোনাসের জন্য সংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গ্রাহকদের উপর এমন ভুতুড়ে বিল চাপাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীদের আরো অভিযোগ, এ সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করতে গিয়ে ফুলগাজী জোনাল অফিসের পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের তোপের মুখে পড়তে হয় গ্রাহকদের। তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হুমকিতে গ্রাহকরা নিরুপায় হয়ে পড়েছেন।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম সেকেন্দার আলী বলেন, এটি বড় আকারের ভুল।তবে, আমার পক্ষে এর সমাধান করা সম্ভব নয়। গ্রাহক আবেদন করলে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করে বিষয়টি দেখা হবে”।
এ ব্যাপারে ফেনী পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আক্তার হোসেন জানান, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। খতিয়ে দেখতে এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অফিসিয়ালি কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।