৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

নুসরাত হত্যা মামলায় পিয়নের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন: জেরা বুধবার

 

ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনী সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার অভিযোগ গঠনে এখনও পর্যন্ত চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও তিনজনের জেরা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সব আসামিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে হাজির করা হয়। ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে মামলার বাদী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান, বান্ধবী নিশাত, সহপাঠী নাসরিন সুলতানা ফুর্তি ও পিয়ন নুরুল আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার নুসরাতের বান্ধবী ফুর্তির জেরা সম্পন্ন করে আসামি পক্ষের আইনজীবীগণ এবং মাদরাসার পিয়ন নুরুল আমিনের সাক্ষ্যগ্রহন করা হয়। এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শাহজাহান সাজু জানান, বুধবার মাদরাসার পিয়ন নুরুল আমিনের জেরা সম্পন্ন করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এর আগে হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে ৭জন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এদিন অন্যান্যদিনের মত যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

গত ২৮ মে ফেনীর আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এর পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম ১৬জনকে অভিযুক্ত করে ৮৬৯ পৃষ্ঠা সম্বলিত নথি ও অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ৩০ মে মামলার ধার্য তারিখে আসামিদেরকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত শুনানী না করে ওই মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ১০ জুন মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানির শুরু করে ২০ জুন মামলার চার্জশীটের উপর শুনানী শেষে এ মামলায় ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহনের দিন ধার্য করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান ওরফে রাফিকে গত ৬ এপ্রিল গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি বিভাগে মারা যায়। এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদেরকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ ও পিবিআই এ মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ১২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর আগে গত ২৭ মার্চ নিজ কক্ষে ডেকে নুসরাতকে শ্লীলতাহনির করে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। এঘটনায় নুসরাত রাফির মা বাদি হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

এ মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পিবিআই ৫ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করলে আদালত তা অনুমোদন করে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মেলায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া যৌন হয়রানির মামলার পর নুসরাত রাফির জবানবন্দি গ্রহণের সময় তার ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় সাইবার আইনের মামলায় গ্রেফতার সোনাগাজী মডেল থানার তৎকালীন ওসি মো: মোয়াজ্জেম হোসেন কারাগারে রয়েছেন।

(Visited ৩০ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল আলিম এর সহধর্মীনি নুরজাহান বেগম আর নেই
ফজলে রাব্বীর আসনে নৌকার হাল ধরতে চান যারা
মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
এমপির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কিল-ঘুষির অভিযোগ
বঙ্গবন্ধুর সমাধীস্থলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের শ্রদ্ধাঞ্জলী
অসহায় মানুষের মাঝে মাংস বিতরণ করল ‘জীবন আলো’