নিউজ ডেস্ক:
মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাজধানীর পল্লবীর বাসিন্দা ইউসুফ আহমেদ। তবে তিনি মশার বিরুদ্ধে নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এই জিডি দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মিরপুর-১২ নম্বর পল্লবী সেকশনের বি ব্লকের বাসিন্দা ইউসুফ আহমেদ জিডিতে অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকায় মশার ওষুধ না ছিটানো হচ্ছে না। তাই মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন। জিডির বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম।
জিডিতে অভিযোগ করা হয়, বর্তমান কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর তার বাসার আশপাশে একবারের জন্যও ওষুধ ছিটানো হয়নি। এ বিষয়ে কাউন্সিলরকে ফোন করে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
জিডির প্রসঙ্গে ইউসুফ আহমেদ বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ার পর থেকে আমি একাধিকবার কাউন্সিলরের অফিসে গিয়েছি। উনাদের লোকজনকে বলেছি, কিন্তু কাজ হয়নি। কাউন্সিলর এলাকাতেই থাকেন না। সবশেষ উনার নম্বরে ফোন করে মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য বলেছি। কিন্তু তিনি জানান, এখন অন্য জায়গায় ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।’
ইউসুফ আহমেদ বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে শুধু আমি বা আমার পরিবার আতঙ্কিত, তা নয়। সবাই আতঙ্কিত। এখনও যদি ওষুধ ছিটানো না হয় তবে আমরা যেকোনও সময় আক্রান্ত হতে পারি। আমাদের পুরো এলাকা এই সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তিনি (কাউন্সিলর) নির্বাচিত হওয়ার পর একটিবারের জন্যও মশার ওষুধ দেননি। তাই জনস্বার্থে বিষয়টি থানায় নথিভুক্ত করেছি। এখন দেখি, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
তবে ওষুধ ছিটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ওষুধ ছিটানো হয়নি, কথাটি সত্য নয়। আমাদের এলাকাটি অনেক বড়। পুরো এলাকায় একসঙ্গে মশার ওষুধ দেওয়া যায় না। ক্রমান্বয়ে দিতে হয়। তবে এখন মেশিন বেড়েছে। একেকদিন একেক এলাকায় ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।’
‘বিজনেস বাংলাদেশ’