অনলাইন ডেস্ক:
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চারদিন পর অভিযুক্ত ইদ্রিস মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের কর্শা গ্রামে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে আহত অবস্থায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের নাহিরাজপাড়া গ্রামের হোটেল ব্যবসায়ীর শিশু কন্যা জাফরাবাদ কর্শা গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। গত মঙ্গলবার রাতে শিশুটির মায়ের চাচাতো ফুফা ইদ্রিস মিয়া মেয়েটির নানার বাড়িতে রাত্রিযাপন করে। পরে গভীর রাতে শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে ইদ্রিস মিয়া। শিশুটি ভয়ে এ কথা তার নানীকে বলেনি। পরে গোসল করানোর সময় শিশুটির স্পর্শকাতর জায়গায় কামড়ের দাগ দেখে জিজ্ঞেস করার পর তার নানীর কাছে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ইদ্রিসকে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইদ্রিস মিয়া ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।