২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে কাজ করার আহবান: শেখ হাসিনার

নিউজ ডেস্ক:
উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি ধরে রাখতে জনগণের সমর্থনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করার ওপর শুক্রবার গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে আমাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক শক্তি প্রয়োজন, আমাদের সংগঠন এবং জনগণের সমর্থন প্রয়োজন।’প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির যৌথ বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এই অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পেছনে সরকারের মূল শক্তি হলো দেশের জনগণ এবং তাদের সমর্থন। ‘বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে, আমি মনে করি আমাদের আরও দৃঢ়ভাবে সংগঠন গড়ে তুলতে হবে,’ বলেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না সে সময়ে এটির পরিকল্পনা ছিল যে রাজনৈতিক দল হিসেবে কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একারণে, যখনই আমরা সরকার গঠন করেছি, পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং দেশকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি।’ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তার দলের এ বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সেই প্রস্তুতি নিতে হবে এবং ধাপে ধাপে এগোতে হবে। এজন্য আমাদের সকল বাধা দূর করতে হবে, আমাদের দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে, আমাদের জনমত তৈরি করতে হবে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অগ্রগতির জন্য সকল চিন্তা-চেতনা সমন্বয় করে সংরক্ষণ করতে হবে যা সব রকমের প্রতিবন্ধকতা দূর করে দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, সরকার গত ১০ বছর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। ‘উন্নয়নের পথে আমরা কখনো নতিস্বীকার করিনি, অথবা আমরা কখনোই পিছিয়ে পড়িনি। আমরা দৃঢ়ভাবে ধীরে ধীরে দেশকে এগিয়ে নিয়েছি। এটা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,’ বলেন তিনি। এক শ্রেণির মানুষের ব্যাপক সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বরেন, তারা সবসময়ই সরকারের কাজকে নেতিবাচকভাবে দেখে।

‘তারা গণতান্ত্রিক (চর্চা) ধারাবাহিকতা চায় না। দেশে যখন অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করে তখন তাদের দাম বেড়ে যায়,’ বলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সরকার কখনোই জনগণকে উপেক্ষা করে না। ‘আমরা সুখে-দুঃখে জনগণের বন্ধু হয়ে থাকতে চাই এবং তাদের কল্যাণে কাজ করতে চাই। এটা আমাদের মূলনীতি এবং একারণেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে পারছি।’

তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ হয়তো বড় উন্নত দেশগুলোর মতো একটি হতে পারবে না, তবে দেশের প্রতিটি জনগণ তাদের জীবনকে অর্থপূর্ণ করতে পারবে। তারা দারিদ্র থেকে মুক্তি পাবে এবং তাদের জীবন সুন্দর হবে। ‘তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে। আমরা সেভাবেই দেশ গড়তে চাই,’ বলেন তিনি। ভারী বর্ষণের কারণে বন্যার সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে।

‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। কোথাও কোনো দুর্বলতা নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার সেই সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে,’ যোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সবাই তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন রয়েছে। দেশের সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক, প্রস্তুত এবং সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেন।

(Visited ১৩ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

হযরত খাজাবাবা (রঃ) ও জামে আওলিয়া কেরামের পথ পূণরুদ্ধার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
করোনায় সারাদেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৯৮
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পেপসির সঙ্গে বিষ খাইয়ে খুন, যুবকের যাবজ্জীবন
চাল আমদানির সুযোগ পাচ্ছে ১২৫ প্রতিষ্ঠান