বিশেষ প্রতিনিধি:
ফেনীর দাগনভূঞার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুরে ডাকাতি করতে গিয়ে গত ১৩ মার্চ গণপিটুনিতে ৪ ডাকাত নিহত ও ডাকাতির অন্তরালের ঘটনা উদঘাটন হয়েছে। মেরিনা আক্তার রিনা নামে এক নারীর পরিকল্পনায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ঐই নারী ও ডাকাতদের সর্দার ইকবাল ফেনী আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিতে ডাকাতির পরিকল্পনা ও জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা থানার ওসি(তদন্ত) সমি উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ওসি আরো জানান,মোবাইলে প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার করে ডাকাতির রহস্য উদঘাটন করা হয়।
সূত্র জানায়,ডাকাতদলের নেতা ইকবালের সাথে রিনার মিসকলে পরিচয় হয়।পরে তাদের বাড়ীতে ইকবালের যাওয়া আসা হয়। ডাকাত ইকবালের পরামর্শে রিনা তার চাচাতো ভাই সবুজের ঘরে ডাকাতি ঘটনায় রাজী হয়। রিনার পরিবারের সাথে চাচাতো ভাই সবুজদের জায়গা সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল।একই রাতে রিনা তার স্বামীর বাড়ী ফেনী সদরের বালিগাঁওর চরহুজুরি গ্রামে তার স্বামী বেলালের ঘরেও ডাকাতি করায়।স্বামীর পরিবারের সাথে বনিবনা না হওয়ায় ক্ষোভের কারনে ডাকাতদের সহযোগীতা করে ঘরের দরজা খুলে দেয় বলে আদালতে জবানবন্দী দেয়। ডাকাত ইকবাল হোসেন চাঁদপুরের শাহরাস্তির উত্তর দেবকড়ার জয়নাল আবেদীন প্রকাশ খোকন নাফিতের ছেলে।
এছাড়ামেরিনা আক্তার রিনার(২৮) দাগনভূঞা মাতুভূঞার উত্তর আলীপুরের মোঃ ফরিদের মেয়ে ও ফেনী সদরে বালিগাঁওর বেলালের স্ত্রী বলে জানা গেছে। উল্লখ্ ১৩ এপ্রিল রাতে দাগনভূঞার মাতুভূঞায় ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে ৪ জন ডাকাত নিহত হয়।