৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

ছাগলনাইয়া উপজেলার উন্নয়নের রুপকার : মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল

এ কে আজাদ:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ছাগলনাইয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদের দুইবারের সফল সুনামধন্য চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল। ছাগলনাইয়া উপজেলার জনগণের আস্থারস্থল মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল। সম্প্রতি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ” মানব বার্তা’র” সঙ্গে আলাপকালে তার অতীত রাজনৈতিক জীবন এবং ভবিষ্যতে জাতীয় ও এলাকার রাজনীতিতে নিজের অর্জন-পরিকল্পনার কথা জানান। মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, আমি ছাগলনাইয়া উপজেলার মধ্যম শিলুয়া চৌধুরী বাড়িতে ১৯৭৫ সালে জন্ম গ্রহন করি। বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ছাগলনাইয়া রাজনৈতিক হাওয়া সব সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুকুলে ছিল। এখানে দীর্ঘদিন রাজনীতি করে যারা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন এবং এখনও অবস্থানে আছেন তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা। তিনি বলেন, স্কুল জীবন থেকে এরকম একটি রাজনৈতিক আবহের মধ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হই। তিনি বলেন, আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুসারী ছিলেন বলে স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়ানোর ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকে তেমন বাধা পাইনি। আমি ১৯৮৮ সালে ছাগলনাইয়া হরিপুর আলী আকবর উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। এরপর ফেনী সরকারি কলেজ পর্যায়ে পড়াশোনার সময় পদ-পদবিতে থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সক্রিয় কর্মী ছিলাম।

১৯৯০ সালে ফেনী সরকারি কলেজ একাদশ শ্রেণির ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৯৩ সালে ফেনী সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৯৫ সালে ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জিএস পদে নির্বাচিত হই। ১৯৯৬ সালে ফেনী জেলা ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ১৯৯৭ সালে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ১৯৯৮ সালে জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য ছিলাম। আমি ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। এরপর ধীরে ধীরে উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হই। ২০১৪ সালে আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হই।

এলাকার মানুষ অন্য প্রার্থীদের চেয়ে আপনাকে সবসময় কেন এগিয়ে রাখবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, এক এক জন নেতার এক এক ধরনের চারিত্রিক গুণ থাকে, সেটা নিতান্তই আলাদা। এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো তাদের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। বিশদ ব্যাখ্যায় না গিয়ে আমি বলবো, এলাকার মানুষ চায় আমি যেন তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে সবসময় তাদের পাশে থাকি, তাইতো দ্বিতীয়বার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। আমি প্রথমবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করেছি। মানুষের সুখেদুখে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। তাই তারা আমাকে দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে বেঁচে নিয়েছে। আমি ফেনীর গণমানুষের নেতা আলাউদ্দি আহমেদ চৌধুরী নাসিম ভাই ও ফেনীর মাটি-মানুষের আপনজন জননেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতি করি।

তাই অত্র উপজেলার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে কাজ করি। নেতাকর্মীদের সবসময় কাছে থাকার চেষ্টা করি, তাদের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখি। তারা আমাকে ভালোবাসে বিধায় তারা আমাকে পূনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছে। তিনি বলেন, আমাকে সবসময় আমার অভিভাবক আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ভাই ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী দ্বিতীয় মেয়াদে দল থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন, এজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে দল থেকে যদি আমাকে না দিয়ে যাকে মনোনয়ন দিতো আমি তারপক্ষে কাজ করতাম। আমি এতটুকু বলবো, আমি যখন থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই এরপর থেকে আমার উপর এলাকার মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। তারা মনে করেছিল আমি দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান হতে পারলে এলাকার মানুষের আরও বেশি সেবা করতে পারবো। মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, একজন স্থানীয় নেতা হিসেবে সব জায়গাতে অনেক বেশি দায়িত্ব নিয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। আমার সেই সুযোগ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ভাই ও আমাদের জেলা আওয়ামীলীগের সুখেদুখের কান্ডারী নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি করে দিয়েছেন।

নিজ দলের অন্য কোনো নেতার সঙ্গে নিজের কোনো বিরোধ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের গত ১০ বছরে এলাকার মানুষকে চিকিৎসা, শিক্ষা, বিয়েশাদিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমি সহযোগিতা করেছি তা অন্য কেউ পারেনি। নিজাম উদ্দিন হাজারীর সুদৃষ্টি ছিল বলেই মানুষের আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে। সমাজসেবমূলক বিভিন্ন কাজে অবদানের কারণে মানুষ আমাকে তাদের মনে ঠাঁই দিয়েছে। নিজের এলাকার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল আরও বলেন, ফেনীর উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি ক্ষমতায় আসার পর এ এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন হয়েছে। এখানে রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও সীমান্ত বাজার হয়েছে। তাই এলাকার মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে এই এলাকার জনগণের উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখতে চায়।

আর সেই উন্নয়নের ধারায় নিজেকে আরও সম্পৃক্ত করার জন্যই চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ছাগলনাইয়াবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বেশি বেশি কাজ করতে চাই।

(Visited ১৬ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল আলিম এর সহধর্মীনি নুরজাহান বেগম আর নেই
ফজলে রাব্বীর আসনে নৌকার হাল ধরতে চান যারা
মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
এমপির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কিল-ঘুষির অভিযোগ
বঙ্গবন্ধুর সমাধীস্থলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের শ্রদ্ধাঞ্জলী
অসহায় মানুষের মাঝে মাংস বিতরণ করল ‘জীবন আলো’