অনলাইন ডেস্ক:
বিজেপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ একাধিকবার এসেছিলেন বাংলাদেশ সফরে। সবগুলোতেই তিনি বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনা তিস্তার পানি নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। তার দাবি ছিল- পশ্চিমবঙ্গে ‘ম্যানেজ’ করেই তিস্তা চুক্তিতে এগোতে চেয়েছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের মে’তে মোদি সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে বাৎসরিক সাংবাদিক সম্মেলনে তিস্তা চুক্তি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বর্তমানের প্রয়াত সুষমা স্বরাজ। বহুপ্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের প্রশ্নে দিল্লি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মতামতকে অগ্রাহ্য করে কিছুতেই এগোবে না, সেটা তখন আবারও জানিয়ে দেন তৎকালীন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। সেবার বাংলাদেশের মানুষ আশা করেছিলেন তিস্তার পানির সুরাহা হবে। কিন্তু বাংলােদেশিদের হতাশ করে আশার একই বাণী শুনিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদিও।
২০১৭ সালের এপ্রিলে এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের সময় নরেন্দ্র মোদি সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘তাঁর এবং শেখ হাসিনার সময়সীমায়ই তিস্তা চুক্তি হবে।’
শেখ হাসিনার সরকারের ওই (দ্বিতীয়) মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। মোদির প্রথম মেয়াদও শেষ হয়েছে ২০১৯ সালের প্রথমদিকেই। কিন্তু সেই চুক্তির আলোর মুখ দেখেনি। তবুও বাংলাদেশের মানুষ বারবার প্রত্যাশা করে আসছে, বাংলাদেশ শিগগিরই তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাবে।
সর্বশেষ আশার বাণী শুনালেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘তিস্তা চুক্তির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ভারত অনড়। একইসঙ্গে অভিন্ন ৫৪ টি নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়েও আমরা আমাদের পূর্ব প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থানে আছি।’
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা সম্পন্ন হলেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জানান দুই দেশের মধ্যকার অভিন্ন ৫৪ নদীর পানি বণ্টনের নতুন ফর্মুলা খুঁজছে বাংলাদেশ-ভারত। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।