রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহীদুল্লাহ কলাভবন ও মমতাজউদ্দীন কলাভবনের সামনে জলাবদ্ধতা ও স্যাতসেতে হয়ে যায়। এ কারণে প্রতিবছর দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকেই। এসমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া’র তত্ত্বাবধানে দুই ভবনের সামনের স্যাতসেতে পরিবেশ দূর করতে মাটি দিয়ে ভরাট করাসহ ড্রেন পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ভবনের সামনের আম গাছগুলো বাঁধায়, অন্ধকার পরিবেশ দূর করার জন্য আলোর ব্যবস্থা এবং এলোমেলো দোকানগুলো একটা শৃঙ্খলায় আনার কাজ শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের সামনের সড়কগুলো, চত্বর এবং পুকুরগুলোর সৌন্দর্যবর্ধন ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কাজ করছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ক্যাম্পাসে একটা আলাদা সৌন্দর্য ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড এর দুইপাশ পরিষ্কার করে সেখানে ঘাস ও ছোট ছোট ফুল গাছ লাগানো হয়েছে। নতুন কিছু ভাস্কর্যের স্থাপনা, সাত পুকুর সংস্কারের পাশাপাশি শহীদুল্লাহ কলা ভবন ও মমতাজউদ্দীন কলা ভবনের সামনের জলাবদ্ধতা নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ অতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ হাসান ফুয়াদ বলেন, ‘আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক সুন্দর ও সাজানো গোছানো। আর এই সাজানো গোছানো ক্যাম্পাসকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই ভবন ছাড়াও যে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাবদ্ধতার সমস্যা ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই ভবনের সামনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুকুর সংস্কার ও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজসহ কিছু নতুন স্থাপনার মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রোল মডেল হিসাবে তৈরি করতে যাচ্ছি।#