নিউজ ডেস্ক:
ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশা নিধন নিয়ে চরম সমালোচনায় পড়েছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র। ঢাকার মেয়র আতিকুল ইসলাম ও সাঈদ খোকন যখন সমালোচনার মুখে, এমন সময় ব্যক্তি উদ্যোগে পরীক্ষিত বিপুল পরিমাণ ওষুধ এনেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার আনা এডিস মশা নিধনে ওষুধগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, পরীক্ষিত ও কার্যকরী। ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমদানি করা ওই ওষুধ প্রয়োজনে তিনি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ অন্য সিটিতেও বিনা মূল্যে সরবরাহ করবেন।
গত ৫ আগস্ট গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি ও র্যালির উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে এসব কথা বলেন মেয়র জাহাঙ্গীর।
মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাজধানী, গাজীপুরসহ দেশে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় এই রোগের প্রকোপ বেশি। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এডিস মশা ও লার্ভা নিধনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং পরীক্ষিত প্রায় ৫০ টন কার্যকরী ওষুধ সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করেছি।
মেয়র বলেন, ৫ ও ৬ আগস্ট দুই দফায় ২৫ টন করে মোট ৫০ টন বেনটাসাইড নামের আন্তর্জাতিক মানের ওই ওষুধ বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। এই ওষুধের প্রয়োজন হলে আমি ঢাকাসহ অন্য সিটিগুলোতেও বিনা মূল্যে তা সরবরাহ করে ডেঙ্গু মশা নিধনে সহযোগিতা করব। ইচ্ছা করলে যে কেউ এই ওষুধের মান যাচাই করতে চাইলে আমি তাতেও সহযোগিতা করব।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, এডিস মশা নিধনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট পরিমাণ কেরোসিন মিশিয়ে প্রতিদিন এক টন করে ওষুধ ব্যবহার করা হবে। নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রয়োজনে আরও ওষুধ আমদানি করা হবে। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থব্যয়ে মশা নিধনের এ ওষুধ আমদানি করা হয়েছে।
মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা এরই মধ্যে গাজীপুর সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু মশা নিধনে দলমত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ শুরু করেছি। আমি নগরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা চাই।