নিউজ ডেস্ক:
পটুয়াখালীতে গণধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া মামলার প্রধান অভিযুক্ত শাকিল মৃধাসহ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় একটি ওয়ান শুটারগান, একটি বিদেশি পিস্তল ও ৩৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে পটুয়াখালী শহরের পানামা হোটেল থেকে র্যাব-৮ এর সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে।
তারা হলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার চরচাপলী গ্রামের মো. শাকিল মৃধা (২৭), মো. সাইফুল ইসলাম (২৫), রবিউল হাওলাদার (৩৫) ও পশ্চিম চাপলি গ্রামের মো. রবিউল হাওলাদার (৩৫) ও পশ্চিম চাপলি গ্রামের মো. রবিউল ভূইয়া (৩৫)।
পরে শাকিল মৃধার বিছানার নিচ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, একটি বিদেশি পিস্তল ও ৩৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। শাকিল মৃধা গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি এবং মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক।বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর রূপাতলী র্যাব-৮ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম বলেন, মহিপুর থানার চরচাপলী গ্রামের এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার বাদী সিদ্দিক হাওলাদরকে (গৃহবধূর স্বামী) হাত-পা ভেঙে দেয়ার পর উল্লেখিত ব্যক্তিরা পটুয়াখালী শহরে আবাসিক হোটেল পানামায় আত্মগোপন করেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে হোটেলের পঞ্চমতলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর শাকিল মৃধার বিছানার নিচ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, একটি বিদেশি পিস্তল ও ৩৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গেল ১৫ এপ্রিল রাতে চরচাপলী গ্রামে সিদ্দিক হাওলাদারকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামিরা গ্রেপ্তারের পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান। এরপর ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদী সিদ্দিকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় গেল ১৭ সেপ্টেম্বর রাত নয়টার দিকে ধুলাসার বাজারে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল মৃধার নেতৃত্বে আট থেকে ১০ জন সিদ্দিককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। সিদ্দিক আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মেজর খান সজিবুল ইসলাম বলেন, র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল মৃধাসহ গ্রেপ্তাররা সিদ্দিক হাওলাদারকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। অস্ত্র ও মাদকসহ আটকের ঘটনায় র্যাবের ডিএডি দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় পৃথক মামলা করেছেন।