ফেনী প্রতিনিধি:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে ফেনী জেলা শহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পূজা মন্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। প্রতীমা নির্মাণ ও মন্দির সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। সনাতন ধম্বালম্বীদের মতে এ বছর দেবী আসছেন ঘোড়ায় চড়ে, যাবে ঘোড়ায় চড়ে। দেবী দূর্গাকে বরন করে নিতে তাই প্রস্তুতি ও সাজসজ্জার কাজ চলছে জেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে। শিল্পীরা নিপুন হাতে ইতি মধ্যে মাটির কাজ শেষ করেছেন। এখন চলছে রংতুলির কাজ। মন্ডপগুলোতে প্রতিমার শৈল্পিক রুপ দেওয়ার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরী শিল্পীরা।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জানায়, ফেনীতে প্রায় ৩ লাখ পূন্যার্থী জেলার ১শ’ ৪০টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব পালন করবে। ইতিমধ্যে পূজা উদযাপন করতে পরিচালনা কমিটি, পূজাঙ্গন প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার নানা প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। সদর উপজেলায় ৫৬ টি, দাগনভূঞায় ১৮টি, সোনাগাজীতে ২২টি, ছাগলনাইয়ায় ৫টি, ফুলগাজীতে ৩৩ টি ও পরশুরামে ৬ টি পূজা মন্ডপে এ উৎসব পালিত হবে। আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর ৫দিন ব্যাপী এ উৎসবে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নিতে পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরকে আকৃষ্ট করতে আয়োজকরা ওই ব্যতিক্রমধর্মী নানা দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরী করেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব বিবেচিত হলেও বর্তমানে তা বাঙালীর সার্বজনীন উৎসবে পরিনত হয়েছে। পূজা উৎযাপন কমিটির আয়োজকরাও বর্ণিল আয়েজনের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এখন শুধু অপেক্ষা মাত্র সেই মাহেন্দ্রক্ষনের।
ফেনী জেলা কেন্দ্রীয় জয়কালি পূজা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার দাস বলেন, প্রতিবারের চেয়ে এ বছর শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গা পুজা উদযাপনকে আরও জাকজমখপূর্ণ করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি আমরা, দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দের বিনোদনের জন্য আমরা সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চ›ন্দ্র শীল বলেন, ফেনীতে এবার ১শ’ ৪০টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব পালন করা হবে। জেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারবো। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল জনসাধারনের সহযোগীতায় এবার শারদীয় দূর্গা পূজার সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।