মো. ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৯ নং নবীপুর ইউপির গোপালপুর গ্রামে কোরআনে হাফেজ এবং একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন আলমগীর হোসেন প্রকাশ দুখু মিয়া(২২) চাচাত বোন শারমিন আক্তার(১৯) এর সহিত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে গত ৬ মাস ধরে শারমিনকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ৫/৭ বার ধর্ষণ করে।ফলে শারমিন গর্ভবতী হয়ে যায়।এ ব্যাপারটি সে আলমগীরকে জানালে আলমগীর ডাক্তারের সহিত পরামর্শের আশ্বাস দেয় এবং পুনরায় ধর্ষণ করে। এরই মধ্যে ১ মাস পূর্বে আলমগীর অন্য আরেকটি মেয়েকে বিবাহ করে ফেলে।এ পরিস্থিতিতে মেয়েটি অসহায় অবস্থায় থানার দ্বারস্থ হন।সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনাটি শুনার পর অাসামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করতঃ থানার চৌকস অফিসার এসআই সাইফুল ইসলামকে দ্রুত আলমগীরকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। নির্দেশে পেয়ে এসআাই সাইফুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে কবিরহাট এলাকা হতে আসামী আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেন এবং কোর্টের মাধ্যমে আজ জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
শারমিন মেয়েটি সহজ সরল প্রকৃতির হওয়ায় আলমগীরের মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেঁসে যায়। ধর্ষক আলমগীর গোপালপুর গ্রামের নুর নবী প্রকাশ নুরু মেস্তরীর ছেলে বলে জানা যায়।সেনবাগ থানার ওসি এ প্রতিনিধিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।