মোঃ ফখর উদ্দিন,নোয়াখালী প্রতিনিধি :
দালাল ছাড়া পাসপোর্ট মেলে না নোয়াখালীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। এদিকে এই কার্যালয় থেকে কয়েকদিন আগে তিন রোহিঙ্গার পাসপোর্ট করার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি পাসপোর্ট করার ঘটনা এখন দেশজুড়েই আলোচিত।কীভাবে আর কোন উপায়ে তারা পাসপোর্ট পেয়েছে এমন প্রশ্ন চারিদিকে।নোয়াখালী পাসপোর্ট অফিসে আবেদনকারীরা জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলেও দালাল ছাড়া এখানে পাসপোর্ট পাওয়া যায় না। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকা দিলে তা সহজেই পাওয়া যায়। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগাচ্ছে রোহিঙ্গারা।আবেদনকারীদের তথ্য যাচাইয়ের দায়িত্ব পুলিশের- এমন কথা বলে ঘটনার দায় এড়িয়ে যান আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, কেউ পাসপোর্ট করার সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন করে।সে কি এদেশের নাগরিক বা ওর বিরুদ্ধে কোন বেআইনি কাজের প্রমাণ আছে কি না। এখন পুলিশ যদি ভেরিফিকেশন করে বলে কোন সমস্যা নেই তাহলে আমাদের তো কিছু করার থাকে না। এদিকে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়েছি যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা সেনবাগ এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করেছে। এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ভুলভাবে যারা পাসপোর্ট নিয়েছে প্রত্যেকটা বিষয়ই তদন্ত করা হবে। যাদের বিষয়ে অভিযোগ আসবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনিয়ম, দুর্নীতি ও দালালমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন এমন প্রত্যাশা পাসপোর্ট আবেদনকারীদের