ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন বলেছেন, ফেনী পৌর এলাকার ময়লার ভাগাড় দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ সমস্যা নিরসনে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে ফেনী পৌরসভা। এরই অংশ হিসেবে ফেনী পৌরসভার ময়লাকে রিসাইকেলিং করে সম্পদে রূপান্তরিত করতে ইতোমধ্যে শহরের সুলতানপুর এলকায় ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্র। মেয়র বলেন, ফেনী শহরের সুলতানপুরে জৈবসার উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির কাজ ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম (সিডিএম) ও ফেনী পৌরসভা কর্তৃক এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
সূত্র জানায়, পৌরসভার সুলতানপুরে ৭০শতাংশ জায়গার উপর নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের তৃতীয় জৈবসার উৎপাদন কেন্দ্র। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদের প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার ৮৭ টাকা বরাদ্ধ দেয়। ২০১৮ সালের ১ আগস্ট প্রকল্পটি তৈরিতে কার্যাদেশ দেয়া হয়। দুইমাস পর একই বছরের ৭ অক্টোবর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন।
পৌর সূত্র জানায়, ৭০শতাংশ জায়গার উপর ১১ হাজার ৬শ স্কয়ার ফুটের একটি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘরটিতে ১৯টি হাউজ করা হচ্ছে। স্বয়ংক্রিয় মেশিনের সাহায্যে সংগৃহীত বর্জ্য প্রাথমিক পর্যায়ে পৃথক করে এই হাউজগুলোতে রিসাইকেল করে জৈবসার উৎপাদন করা হবে এবং দূষিত পানি থেকে উৎপাদন করা হবে বায়োগ্যাস।
সূত্র জানায়, পৌর এলাকা থেকে প্রতিদিন ১২০ টন আবর্জনা দেওয়ানগঞ্জে নিয়ে ফেলা হয়। সেই হিসেবে পৌরসভা প্রতিমাসে ৩ হাজার ৬শ’ টন আবর্জনা অপসারণ করে। জানা গেছে, ফেনী পৌরসভার তথ্যমতে ১২০ টন অপসারিত বর্জ্য থেকে দৈনিক ৯৬ টন জৈবসার উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে প্রতিমাসে ২ হাজার ৮শ ৮০ টন আর বছরে উৎপাদিত হবে ৩৪ হাজার ৫শ ৬০ টন সার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ প্রকল্প থেকে আয় হবে বছরে অন্তত ১৯ কেটি ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন জানান, জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি চালু হলে শহরে জনসাধারণ নানা দিক দিয়ে উপকৃত হবে। এতে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা সম্ভব হবে। অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।