মোঃ ফখর উদ্দিন,নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়ার অদক্ষতা, ব্যাপক দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা,অর্থ আত্মসাৎ ও লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচারণের অভিযোগ এনে ঐ পরিষদের ৬ সদস্য নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।অভিযোগকারীরা হলেন, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য হাসিনা আক্তার, ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ এমদাদ উল্যাহ, ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ কাজী জহিরুল ইসলাম,৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাহাদাত হোসেন,৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ সারোয়ার হোসেন প্রকাশ বাহার ও ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য ফিরোজ আলম।
নির্বাহী অফিসার ববাবরে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া ২ জন সদস্যকে বর্তমান অর্থ বছরে ৪০ দিনের উন্নয়ন কর্মসূচি প্রদান করে ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যানকে দিয়ে তাদের কাছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দাবি করলে তা দিতে তারা অসম্মতি জানান।পুনরায় ঐ ২ সদস্যকে এল.জি.এস.পি-৩ এর থেকে দুটি প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে আবারো তাদের কাছে ২৭% টাকা চাইলে তা দিতে তারা অস্বীকৃতি জানালে তাদের প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ করার পরও এখন পর্যন্ত তাদের চেক প্রদান করেননি অথচ অন্য অসমাপ্ত কয়েকটি প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও ১০ প্রকল্পের সভাপতিকে চেক প্রদান করেন।চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের নাম দিয়ে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ১% এবং এল.জি.এস.পি-৩ প্রকল্পে নিজে ৪টি প্রকল্পের সভাপতি হয়ে ৭০% টাকা আত্মসাৎ করেন।এছাড়া চৌকিদারী ও হোল্ডিং ট্যাক্স,ট্রেড লাইসেন্সের নামে আদায় করা টাকা আত্মসাৎ ও নাগরিক সনদ,ওয়ারিশ সনদ,জন্ম সনদ নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার সহ নগদ টাকা গ্রহণ করা ছাড়া কাউকে তিনি ছাড় দেন না বলে অভিযোগ করেন এবং তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
ইউএনও বরাবর দেয়া এ সংক্রান্ত একটি কপি অভিযোগকারী সদস্যরা সেনবাগ উপজেলা প্রেসক্লাবেও প্রদান করেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,মেম্বাররা শতভাগ কাজ না করে টাকা চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করলে তারা ওই মিথ্যা অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিনহাজুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেন।