সুদীপ্ত শামীম, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মৃত ব্যক্তির নামে বয়ষ্ক ভাতা টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে সংরক্ষিত এক নারী ইউপি সদস্যের স্বামীর বিরুদ্ধে। তিনি বেলকা ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মুক্তা বেগমের স্বামী।
ভূক্তভোগীর অভিযোগ, চলতি বছরের ২২ মার্চ বার্ধক্য জনিত কারনে মারা যান বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামের বয়ান উল্ল্যাহর ছেলে সুবিধাভোগী মহব্বত আলী মুন্সি। তার মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজন ভাতার বই জমা দেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসে। কিন্তু কৌশলে মাঠকর্মীর কাছে থেকে ভাতার বইটি হাতিয়ে নেয় ওই নারী ইউপি সদস্যের স্বামী আনারুল ইসলাম। পরে মহব্বত আলীকে অসুস্থ দেখিয়ে প্রত্যায়নপত্র জমা দিয়ে ৬ মাসের ভাতা উত্তোলন করেন আনারুল। পরে নিয়ম অনুযায়ী তার ভাতা সুবিধার স্থানে মহব্বত আলীর ছেলে ছবিয়ালের নাম যুক্ত করেন সমাজসেবা অফিস। এরপর ছবিয়াল ভাতার টাকা তুলতে গেলে দেখেন একাউন্টে কোন অর্থ নেই। পরে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মৌখিক অভিযোগ করেন ছবিয়াল। কিন্তু সেই অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্যের স্বামীর নামে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাননি ভূক্তভোগী। এমনকি ছবিয়ালের বাবা মহব্বত আলীর ভাতার বই এখনো ফেরত দেয়নি সেই নারী ইউপি সদস্য।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেই নারী ইউপি সদস্যের স্বামী আনারুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো ভাতা উত্তোলন করিনি, তারা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তবে সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী কাজল চন্দ্র ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ওই নারী সদস্যের স্বামী সুবিধাভোগীর ভাতিজা হওয়া বইটা আমি দেই। পরে তিনি কৌশলে ভাতার টাকা উত্তোলন করেছেন বলে শুনেছি।
সুবিধাভোগী ছবিয়াল বলেন, আনারুল আমার চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে আমার বাবার বই হাতিয়ে নেয়। পরে বয়স অনুযায়ী বাবার ভাতার স্থানে আমাকে সুবিধাভোগী হিসেবে যুক্ত করে। এরপর ভাতার টাকা তুলতে গিয়ে শুনি আমার টাকা তুলে নিয়েছেন মেম্বারের স্বামী। আমি অভিযোগ করেছি তারপরেও আমার টাকা আর বই ফেরত পাইনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মুন্নী রানী প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(Visited 1 times, 1 visits today)