সাজ্জাদ হোসেন চিশতী:
সম্প্রতি ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডের সাথে যুবলীগ জড়িত থাকায় সংগঠনের প্রতি ক্ষিপ্ত ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। এসকল কর্মকাণ্ড থেকে যুবলীগকে পুনারায় ঢেলে সাজাঁতে আগামি ২৩ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ।
মেধা ও দক্ষতা আর পরিছন্ন রাজনীতির ইতিবাচক ব্র্যান্ডে যুক্ত করতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি চান না আর ক্যাসিনো বা অনুপ্রবেশ।সম্মেলনকে ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনীতি মহলে সাধারণ মানুষদের মাঝে জেগে উঠেছে নানা কৌতূহল।যুবলীগের বতমান কমিটির ক্লীন ইমেজের যারা এত দিন কোনঠাসা ছিল তারাও নড়েচড়ে বসেছেন। সংগঠনটির দুঃসময়ে কারা আসছেন আগামির নেতৃত্বে?।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের যাদের নাম সবেচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে তাদের মধ্যে দেশের ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি, ব্যারিস্টার শেখ নাঈম, শেখ শারহান তন্ময়, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এবং ক্রিকেটার ও এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজা । এই মেধাবী একজাঁক তরুণদের নাম সবার মুখেই শোনা যাচ্ছে।
একাধিক সূত্রে জানায়, যুবলীগের নেতৃত্ব বেশিরভাগ এসকল তরুণদের মাঝ থেকেই নিবাচন হতে পারে। তবে কে আসবেন সংগঠনটির শীর্ষ পদে আগাম বার্তার জানার সুযোগ নেই। সিদ্ধান্ত দিবেন একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সেই হারানো ঐতিহ্য আর ইতিহাস ধরে রখেতেই প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন পরিছন্ন সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে।আর ইতিমধ্যেই সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বেশিরভাগ গুরুত্ব দিবেন, সৎ, মেধাবী,পারিবারিক পরিচয়,সাবেক ছাএনেতা, দক্ষদের দিকে।
বয়স ও পরিছন্ন ব্যক্তি এবং দক্ষতার দিকপএগিয়ে ব্যারিস্টার শেখ নাঈম। যুব লীগের শীর্ষ নেতাদের মাঝে হাতে গোনা যে কয়জন নেতাকে দুর্নীতি ও অপকর্ম স্পর্শ করতে পারেনি তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার শেখ নাঈম একজন।এছাড়াও রয়েছেন পরিচ্ছন রাজনীতিবীদ ব্যারিস্টার শেখ ফজলে তাপস তিনিও জনপ্রিয়তা আর মানুষের আস্থা তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। শেখ মারুফও রয়েছেন। ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার নামটি এখন আলোচনার ঝড়, শেখ তন্ময় তিনিও পিছিয়ে নেই।
আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সুত্রে জানাযায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিবেন তাদের নেতৃত্ব থেকে ভাল আশা করা যাচ্ছে। সততা আর দক্ষতার সাথে যারা নেতৃত্ব দিবেন এবং বিগত দিনে ও এই কমিটির যাদের ক্লিন ইমেজ রয়েছে তাদের সম্ভবনা বেশি রয়েছে। যুবলীগের ভাবমূর্তি রক্ষা এবং দল ও সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে তারাই আসতে পারেন নেতৃত্বে।
তবে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেষ পর্যন্ত কে হবেন সে সিদ্ধান্ত দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে আসছে ২৩ নভেম্বর সম্মেলন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে রাজনীতি মহলের ব্যক্তিদের। কে যাবেন দলের শীর্ষ পদে তা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই জানেন এবং সিদ্ধান্ত দিবেন।