স্বাস্থ্য টিপস:
গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণত শরীরে পানি ও লবণের ঘাটতি দেখা দিলে হিটস্ট্রোক হয়। এর কারণে পেট খারাপ, বমি, অত্যধিক মাথা ব্যথা ও জ্বর হতে পারে। এ ছাড়া তাপজনিত বিভিন্ন রোগ শরীরকে দুর্বল করে ফেলতে পারে। জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্থ থাকার এবং
হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষার কিছু উপায়।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ : মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, পেশি দুর্বলতা, দ্রুত, অগভীর শ্বাস, রক্তিম ত্বক, তাপ সত্ত্বেও ঘামের অভাব, বমি বমি ভাব এবং বমি, হৃত্স্পন্দন বাড়া, হাঁটার অক্ষমতা
তরল পদার্থ : দিনে অন্তত দুই লিটার তরল পদার্থ পান করুন। পানি, ফলের রস, ডাবের পানি বা শরবত আপনার তালিকার শীর্ষে রাখুন। কারণ গরমে অত্যধিক ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এর ফলে বমি, ক্লান্তিভাব এমনকি ডায়রিয়া হতে পারে।
খাবার : ভারী খাবার, বিশেষ করে যেসব খাদ্য শর্করা, চর্বি ও আমিষসমৃদ্ধ, যা শরীরে প্রচুর তাপ উৎপাদন করে, সেসব এড়িয়ে চলুন। তাজা ফল, শাকসবজির মতো হালকা খাবার খান। আপনার শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক গ্লাস ঘোল যোগ করুন।
পকেটে রাখুন পেঁয়াজ : অদ্ভুত শোনাচ্ছে? পকেটে পেঁয়াজ রাখলে তা আপনার শরীরের তাপ শুষে নিয়ে তাপমাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। গ্রীষ্মে অত্যধিক তাপ ও গরম বাতাস থেকেও আপনাকে রক্ষা করবে।
পেঁয়াজ খান : গ্রীষ্মের তাপকে পরাজিত করার আরেকটি কার্যকর উপায় হলো পেঁয়াজ খাওয়া। বিশেষ করে লাল পেঁয়াজে কুয়ারসেটিন নামের রাসায়নিক রয়েছে। যা হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল নয় : অ্যালকোহল প্রস্রাবের মাধ্যমে আমাদের শরীরের তরল পদার্থ কমিয়ে দেয়। কারণ এটি প্রকৃতিগতভাবেই মূত্রবর্ধক। কাজেই গরম আবহাওয়ায় আপনার পছন্দের পানীয় পানের পরিমাণ কমান এবং এর পরিবর্তে পানি ও শরবত খান।
কাঁচা আমের শরবত : রোদ বা গরমে বাইরে যাওয়ার আগে কাঁচা আমের এক গ্লাস শরবত পান করুন।