ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট নুসরাতের পরিবারসহ স্থানীয়রা। তাদের দাবী এ রায়ের মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন সেটা প্রমানিত হলো।
রায়কে ঘিরে সকাল থেকে নুসরাতের বাড়ীতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলো নুসরাতের পরিবারসহ ফেনী জেলার সর্বস্তরের মানুষ। দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামর্স জগলুল দুটি ধারায় সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে ৮ বছরের কারাদন্ডসহ ১৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। রায় শুনে স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ওসির দায়িত্বে গাফলতির কারণে নুসরাত হত্যা স্বীকার হয়েছে। তাই রায়ে খুশি তারা।
এদিকে রায় শুনে নুসরাতের মা শিরিনি আক্তার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এসময় তিনি জানান, এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। পাশাপাশি আর কোন পুলিশ অফিসার কোন মেয়ের সাথে এমন আচরণ করবেনা এবং হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করবেনা।
গত ২৪ অক্টোবর নুসরাত হত্যায় ১৬ আসামীর মৃত্যুদন্ড ঘোষণার পর আদালতে প্রকাশ্যে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয় আসীমারা। এতে কোন গণমাধ্যমের সাথে কথা বলাসহ অজানা আতংকে রয়েছে নুসরাতের পরিবার। তবে পুলিশের উপ পরিদর্শক ময়নুল হোসেন কর্মকর্তা বলেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য দিনে রাতে ২৪ ঘন্টা পুলিশের টিম কাজ করছে।
গত ২৭ মার্চ নুসরাতকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। এমন অভিযোগ থানায় দিতে গেলে ওসি মোয়জ্জেম নুসরাতকে অনৈতিকভাবে জেরা করেন এবং নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেন।