১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

নানা সমস্যায় জর্জরিত ফেনী সরকারী কলেজ

 

বিশেষ প্রতিনিধি :
প্রয়োজনীয় শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষের সল্পতা, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম কম হওয়া, আবাসন সংকট, খেলার মাঠ ও পুকুর না থাকাসহ শতবর্ষী ফেনী সরকারি কলেজে নানামূখী সমস্যার শেষ নেই। ২০ হাজার শিক্ষার্থীর এ কলেজটিতে শিক্ষক প্রয়োজন কমপক্ষে ১৫২ জন। বর্তমানে সৃষ্ট পদই আছে ৭৩টি। যার মধ্যে আবার ১০টি পদই শুন্য। এরমধ্যে আবার কয়েকটি বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান কলেজে অনিয়মিত। তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও লক্ষীপুরে বসবাস করেন। আবশ্যিক বাংলা ও ইংরেজী দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে বর্তমানে মাত্র তিনজন করে শিক্ষক রয়েছেন।

কলেজটিতে আবাসন সংকটের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষক-শির্ক্ষ্থাীদের জন্য নেই কোন পরিবহন সুবিধা। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণাগারে তেমন কোন সুবিধা নেই। পদার্থবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে প্রদর্শকের পদ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের জন্য কোন প্রদর্শক নেই। আইসিটি বিষয়ে কোন শিক্ষক নেই।
সরেজমিন ও অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯৭ বছরের পুরানো এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার অনুকুল পরিবেশ থাকলেও নানা সমস্যা বিদ্যমান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কলেজের সমস্যাগুলোর কথা একযোগে স্বীকার করে বলেন-কলেজের সমস্যা গুলোর কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সবাই কমবেশী জানেন। কিন্তু সমাধান নেই। সরকারি সব ধরণের সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরও দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের এ প্রাচীন কলেজের লেখাপড়ার মান আগের মত নেই। জেলার বেশীর ভাগ মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ কলেজে ভর্তি হলেও ফলাফল আশানুরূপ হয় না। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে ২০১৯ সালে পাশের হার ৭৫.৪৫শতাংশ, ১৮ সালে ৭০.৯৮শতাংশ, ১৭ সালে ৬২.৮৮শতাংশ।

ফেনী সরকারী কলেজে ভর্তিও সুযোগ না পেয়ে শহরের একটি বেসরকারি কলেজে অনেকটাই দুর্বল মানের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে প্রতি বছর এইচএসসির ফলাফলে এগিয়ে থাকতে দেখা যায়।

কলেজ সূত্র জানায়, ১৯২২ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ছাড়াও বর্তমানে ১৫ বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৫ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও ১০টি বিষয়ে মাষ্টার্স (প্রিলি) চালু রয়েছে। কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ছাড়া শিক্ষকের পদ আছে ৭৩টি। ৮টি শিক্ষকের পদ শুন্য ও দুইজন শিক্ষক চার মাসের প্রশিক্ষনে রয়েছেন। বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৬৩ জন শিক্ষক। আবশ্যিক বাংলা ও ইংরেজী দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে বর্তমানে মাত্র তিনজন করে শিক্ষক রয়েছেন।

বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির জানান, বাংলা বিভাগে শিক্ষকের পদ থাকার কথা ১২টি, পদ আছে ৬টি, কর্মরত আছেন ৩জন। এছাড়া একজন অতিথি শিক্ষক রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক থেকে মাষ্টার্স পর্যন্ত প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ক্লাস নিয়ে হিমশিম খেতে হয়।
ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আফ্লাতুন জানান, উচ্চ মাধ্যমিক থেকে মাষ্টার্স পর্যন্ত ইংরেজী বিভাগে পাঁচ হাজারের বেশী শিক্ষার্থী রয়েছে। এ বিভাগে শিক্ষকের পদ ১২টি থাকার কথা। পদ আছে ৫টি, দুটি পদ শুন্য। একজন অতিথি শিক্ষক নেওয়া হয়েছে। ফলে চারজন শিক্ষক ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে পড়াতে হয়। এতে কষ্টের শেষ নেই।
বর্তমানে কলেজে প্রতি বিষয়ে ৪ থেকে ৬টি করে পদ রয়েছে। অথচ এ সল্প সংখ্যক শিক্ষক দিয়েই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী জানায়, কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারণে কয়েকজন বিভাগীয় প্রধান কলেজে একেবারেই অনিয়মিত। তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও লক্ষীপুর বসবাস করেন। কেউ কেউ মাসে এক বা দুই দিন আসেন। কেউ সপ্তাহে এক বা দুই দিন আসেন।অনিয়মিতদের মধ্যে গণিতের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শিব প্রসাদ দাস গুপ্ত, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল মজিদ, হিসাব বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস হাসান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ মঞ্জুরুর রহমান, সাধারণ ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো ফজলে এলাহী, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. লিয়াকত আলীসহ আটজন রয়েছেন। শিক্ষক সংকটের কারনে কয়েকজন অতিথি শিক্ষক দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে হয়।

কলেজে অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলে গণিত বিভাগের প্রধান প্রফেসর শিব প্রসাদ দাস গুপ্তের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দাবি করেন-তিনি নিয়মিতই কলেজে উপস্থিত হন। তবে অনেক সময় দুপুর দেড়টার পর থাকেন না।
ভবন ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে কলেজের সবচেয়ে পুরনো পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়েই নীচতলার দুটি বড় কক্ষে পাঠদান চলে।

শিক্ষক পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এনাম কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভিন্ন বিভাগে ১৫২জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু অদ্যবধি পদগুলি সৃষ্টি হয়নি। ডিগ্রি মানের শিক্ষক দিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বিভাগের শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। তিনি বলেন, কলেজটিতে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও বিভাগ বাড়লেও সে অনুযায়ী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হয়নি। বর্তমানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ৩১৭ জন।

এনাম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী যে সব বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়, সে গুলোর প্রতিটি বিভাগে কমপক্ষে ১২জন করে শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু অনার্স-মাষ্টার্স কোর্স চালু হলেও এখন পর্যন্ত ডিগ্রী (পাস) কোর্সের মতই শিক্ষকের পদ রয়েছে। ফলে সব বিভাগেই শিক্ষকরে সল্পতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিজানুর রহমান জানান, অতিথি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নিয়েও তাদেরকে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আবদুল কাইয়ুম নামে দ্বাদশ শ্রেণির একজন ছাত্রের অভিভাবক বলেন, তিনিও এ কলেজের ছাত্র ছিলেন। তখনকার তুলনায় লেখাপড়ার মান বর্তমানে খারাপই বলতে হয়। বোর্ডের মেধা তালিকায় ভাল অবস্থানে থাকতো এ কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিশ^বিদ্যালয়ে যে হারে ভর্তির সুযোগ পেত বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতির কারনে সে অবস্থানও আগের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ফেনী সরকারী কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে যে সব দুর্বল মানের শিক্ষার্থীরা শহরের অন্য একটি বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে প্রতি বছর এইচএসসির পাশের হারে ফেনী সরকারী কলেজ থেকে এগিয়ে থাকতে দেখা যায়।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী এরশাদ উল্যাহ ও মাষ্টার্স গণিতের শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম জানায়, কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে কিছু ক্লাস হলেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির ক্লাস ঠিকমত হয়না। এর কারণে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক ক্লাসে বেশী উপস্থিত থাকলেও অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিতি বেশী থাকেন।
উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করেই জানান, এমনিতেই কলেজে শ্রেণিকক্ষগুলোতে স্থান সংকুলান হয়না, তদুপরি কলেজের নির্ধারিত পোষাক পরেই অন্য কলেজের কিছু শিক্ষার্থী ক্লাস করে থাকে। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও নিয়মিত তদারকির অভাব রয়েছে। কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ জহির উদ্দিন জানান, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয়। জরুরী ভিত্তিতে একটি নতুন বিজ্ঞান ভবন প্রয়োজন। এছাড়া বর্তমান সময়ের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ফিন্যান্স, মার্কেটিং, পরিসংখ্যান ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ চালু করা দরকার।

একজন শিক্ষক বলেন, কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ১৮টি শ্রেণি কক্ষে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও অনেক সময় কিছু যন্ত্রাংশ নষ্ট থাকে। ফলে পেছনের সীটে যারা বসে তারা কিছুই শুনতে পায়না।
কলেজের পুরানো ভবনের দ্বিতীয় তলার মূল গ্রস্থাগারের অবস্থা খুবই করুণ। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কোন শিক্ষার্থী এখন ওই গ্রন্থাগারে যাওয়ার উপায় নেই। গ্রন্থাগারের উপরের ছাদ ছুঁইয়ে পানি পড়ে অনেক মূল্যবান বই ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। সংস্কারের অভাবে এটি অনেকাটাই অযতœ অবহেলায় পড়ে আছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একযুগ আগে কলেজে থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ১০০ শয্যার নির্মিত ছাত্রাবাসটিতে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারনে গড়ে ৫০ জন ছাত্র থাকে। বাকী শয্যা গুলি বছরের পর বছর খালি পড়ে আছে। বর্তমানে কলেজের মূল ক্যাম্পাসের পাশে ছাত্রীদের জন্য ১০০ শয্যার আরও একটি ছাত্রী হল নির্মান করা হলেও গ্যাস সংযোগ না থাকায় এটি চালু করা যাচ্ছে না। কলেজ সংলগ্ন ৫০ শয্যা করে দুটি ছাত্রবাসের একটিকে মেরামত করে শিক্ষকরা থাকেন। অপর পরিত্যক্ত ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্টিন চালু করা হয়েছে। আবাসন সুবিধা না থাকায় ছাত্রাবাসের অবশিষ্ট অংশে ঝুঁকি নিয়ে কলেজের কর্মচারীরা আবাসিক কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করছেন। কলেজের অধ্যক্ষের জন্য একটি সরকারি বাসভবন থাকলেও সেটি পরিত্যক্ত থাকায় তিনি অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব কোনো খেলার মাঠ নেই। যে মাঠটি ছিল -সেখানে অনেক আগেই একাধিক একাডেমিক ভবন নির্মান করা হয়েছে। সংস্কারের অভাবে কলেজের পুকুরটি কুচুরী পেনায় ভর্তি হয়ে বর্তমানে ডোবায় পরিনত হয়েছে। বর্তমানে কলেজের শিক্ষার্থী প্রয়োজনে পাশ^বর্তী বিদ্যালয়ের পুকুরটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। কলেজের কোন নিজস্ব পরিবহন নেই। পরিবহন সুবিধা না থাকায় দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে বেগ পেতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, সরকারী কলেজ হলেও প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের থেকে নিদিষ্ট হারে উন্নয়ন ফি নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পাল কলেজের নানা সমস্যা ও সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, শ্রেণিকক্ষের ধারন ক্ষমতা কম হলেও কষ্ট করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। কলেজে একটি একাডেমীক ও একটি বিজ্ঞান ভবনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ হলে কলেজের শ্রেণিকক্ষ সংকটসহ আবাসন সমস্যা লাঘব হবে।

শিক্ষার মান নিম্মমূখী হওয়ার কথাটি অস্বীকার করে বলেন, কলেজের বর্তমান ফলাফল পূর্বের চেয়ে অনেক ভালো।
বিমল কান্তি পাল আরো বলেন, শিক্ষক সংকটের কারনে শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য ১০ জন অতিথি শিক্ষক নেওয়া হয়েছে। অতিথি শিক্ষকদেরকে প্রতি ক্লাসের জন্য ২শ টাকা করে দেওয়া হয়। নিজ নিজ বিভাগের ছাত্রদের সেমিনার ফি থেকে এ টাকা দেওয়া হয়।

সূত্র- ফেনীর সময়

(Visited ১০৪ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

হযরত খাজাবাবা (রঃ) ও জামে আওলিয়া কেরামের পথ পূণরুদ্ধার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল আলিম এর সহধর্মীনি নুরজাহান বেগম আর নেই
ফজলে রাব্বীর আসনে নৌকার হাল ধরতে চান যারা
মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
এমপির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কিল-ঘুষির অভিযোগ
বঙ্গবন্ধুর সমাধীস্থলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের শ্রদ্ধাঞ্জলী