ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনী সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের একটি গ্রামে গতকাল দুপুরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আবারও এক তরুণী (১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক মো: সুমন (২০) পলাতক রয়েছেন। মো: সুমন উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চর ডুব্বা এলাকার রহিম উল্যাহর ছেলে ও সোনাগাজী সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
এ ঘটনায় রাতে তরুণীর বাবা বাদি হয়ে কলেজ ছাত্র মো. সুমনকে আসামী করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ ও তরুণীর পরিবার সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ও বখাটে সুমন তারা একই এলাকার পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। সুমনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে সুবাধে সুমন ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে গিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। সুমন একাধিকবার ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে ওই তরুণী গোসল করতে গেলে সুমন তাকে ডেকে পুকুর পাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এসময় স্থানীয় লোকজন আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে দেখে পেলে। পরে সুমন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তরুণী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার মা-বাবকে জানায়। তারা বিষয়টি স্থানীয় সমাজ কমিটির লোকজনদেরকে অবহিত করেন। সমাজ কমিটির লোকজন তরুণীর পরিবারকে থানায় গিয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
তরুণীর বাবা বলেন, তিনি একজন দিনমজুর। রিকশা চালিয়ে সংসার চালান। বখাটে সুমন তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। তিনি সুমনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো. নুরুল করিম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাতেই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে থানায় এসে তরুণীর বাবাকে মামলা করার জন্য বলেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় সোমবার রাতে তরুণীর বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে সকালে মামলা করতে আসবেন বলে জানিয়ে বাড়িতে চলে যান। কিন্তু এরপর তিনি আর থানায় আসেননি।
এর আগে আরেক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার দুপুরে পৌরসভার চর গণেশ এলাকা থেকে আবু বকর (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।