দাগনভূঞা প্রতিনিধি: উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দেবরামপুর জাহানারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছদ্ম নাম —- (১৪) কে বিগত ২৫/০৭/১৯ইং তারিখে রাত অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় পাশের বাসার মোঃ ফয়সাল (৩০) ভিকটিমকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এঘটনায় গত ২৮/১১/১৯ ইং তারিখে ভিকটিমের মা নাজমুন নাহার থানায় মামলা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের (বাদামতলী বাসান প্রকল্পে) দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত ভিকটিমের মা-বাবাসহ বসবাস করে আসছেন। ভিকটিমের মা পেশায় একজন ধাত্রী। ভিকটিমের পিতা একজন কৃষক। ওইদিন রাতে ভিকটিমের মা তার পেশা ধাত্রীর কাজে ঘর থেকে বাহিরে যান। ভিকটিমের বাবাও বাজারে গেলে উভয়ের অনুউপস্থিতিতে ভিকটিম ঘর হইতে বাথরুমে যাওয়ার পর বাথরুম থেকে বাহির হওয়ার পাক্কালে একই এলাকার পাশাপাশি বাসার মোঃ ফয়সাল(৩০) জোর পূর্বক ভিকটিমের মুখ চাপিয়া ধরিয়া বাথরুমের পূর্ব পার্শ্বে নিয়া ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাহার পরনের পায়জামা খুলিয়া জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ভিকটিম চিৎকার দিলে ভিকটিমসহ তার পরিবারের সকলকে প্রাণে মেরে ফেলবে মর্মে ভয় দেখায়। এরপর বখাটে মোঃ ফয়সাল ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখাইয়া তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার জোর পূর্বক ধর্ষন করে। ভিকটিমের মা জানান, আমার মেয়েকে মোঃ ফয়সাল কু-নজরে দেখতো। তার স্বভাব চরিত্র ভাল না। পরবর্তীতে ভিকটিম তার মাকে ঘটনাটি জানালে ভিকটিমের মা তার আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করিয়া থানায় মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। যাহার নং- ১০/১৭৬।
থানার ওসি (তদন্ত) প্রার্থ প্রতীম দেব ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে জানান, উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা নাজমুন নাহার বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করেন। মামলা রুজ করে গ্রেফতার পূর্বক মোঃ ফয়সালকে আদালতে সোর্পদ করি।