২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

নির্বাচনী প্রচারণা শুরু বিএনপির ইশরাক ও তাবিথের

মানব বার্তা ডেস্ক:

প্রতীক বরাদ্দের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নামছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীরা। আজ শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন। প্রচার শুরুর দিনে মেয়র প্রার্থীরা তাদের কর্মসূচিও ঠিক করেছেন। মেয়র পদে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির দুই প্রার্থী আজই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারে নামবেন।

উত্তরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে উত্তরা ৭নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর সড়কের জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার পর রবীন্দ্র স্মরণী থেকে শুরু করে কামারপাড়া পর্যন্ত জনসংযোগ করবেন। কামারপাড়া হয়ে দিয়াবাড়ীতেও জনসংযোগ করবেন তিনি। দক্ষিণে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন প্রতীক নিয়ে জুরাইন কবরস্থানে বাবা সাদেক হোসেন খোকার কবর জিয়ারত করবেন। এরপর বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়ে উত্তর গেট থেকে গণসংযোগ চালাবেন।

তাবিথ আউয়াল দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন অন্যদিকে ভোটের লড়াইয়ে প্রথমবার নামছেন ইশরাক হোসেন। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটির প্রথম নির্বাচনে তাবিথ আউয়াল ছিলেন মেয়র পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হকের কাছে পরাজিত হন।

অন্যদিকে ভোটের লড়াইয়ে প্রথম নামছেন ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। তিনি অবিভক্ত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ভোটে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মির্জা আব্বাস পরাজিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. সাঈদ খোকনের কাছে।

২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মারা যান ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম জয়ী হন। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ প্রথম সভা থেকে পরের পাঁচ বছর পর্যন্ত। ওই অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে। এদিকে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ পূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটের আয়োজন সম্পন্ন করতে হবে।

১৮ দিনের প্রচার শেষে ৩০ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। দুই রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আইন মেনে প্রচার চালাতে পারবেন। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকিং করে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। সেখানে শুধু নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে। কোনো ধরনের মিছিল, শোডাউন, বড় ধরনের জনসভা, তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। অনুমতি সাপেক্ষে পথসভা বা ঘরোয়া সভা করতে পারবেন। এদিকে ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে উদ্বিগ্ন কমিশন। কিন্তু আইন না থাকায় এ বিষয়ে এ পর্যন্ত কোনো কিছু করণীয় নির্ধারণ করতে পারেনি ইসি।

নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, প্রার্থীদের কোনোভাবে মসিজিদ-মন্দিরে ভোটের প্রচার না চালানোর জন্যে বলা হয়েছে। আচরণবিধি মেনে কোনোভাবে উপাসানালয়ে ভোট না চাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। আচরণবিধির ২০ ধারায় বলা হয়েছে- কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো দল, ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসানালয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। জানতে চাইলে উত্তরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবারকে সামনে রেখে আমরা ইতোমধ্যে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের আচরণ বিধি মেনে প্রচারণা চালানোর জন্যে বলে দিয়েছি। কোনোভাবে মসজিদ-মন্দিরে বা ধর্মীয় উপাসানালয়ে ভোট চাইতে পারবেন না- জানিয়ে দিয়েছি।

(Visited ১০ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

হযরত খাজাবাবা (রঃ) ও জামে আওলিয়া কেরামের পথ পূণরুদ্ধার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
করোনায় সারাদেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৯৮
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পেপসির সঙ্গে বিষ খাইয়ে খুন, যুবকের যাবজ্জীবন
চাল আমদানির সুযোগ পাচ্ছে ১২৫ প্রতিষ্ঠান