আগামী ১৪ দিন পরই চীনের উহান ফেরত বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ও ক্রুদের অন্য দেশ ভিসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ৩১ জানুয়ারি উহানে থেকে ৩১২ বাংলাদেশী নাগরিক ফেরাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট পাঠায় সরকার। এরপর থেকে বিভিন্ন দেশে ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না সেই বিমানের পাইলট ও বিমানবালাদের।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নতুন করে উহান থেকে আরও ১৭১জন ফিরে আসতে চাইলেও আপাতত তাদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এর আগে দুপুরে সচিবালয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল হক জানান, চীনের উহান থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ বিমানের যে ফ্লাইটটি পাঠানো হয়েছিল, তার পাইলট ও ক্রুদের অন্য দেশ ভিসা দিচ্ছে না। এ কারণে চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে নিজস্ব আর কোনও বিমান পাঠানো হবে না। করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের এক বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এসব কথা জানান।
মন্ত্রিসভায় নভেল করোনাভাইরাস রোধে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ পরিস্থিতিতে চীনের সাথে বাংলাদেশের ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে বিমানের ব্যয় বাবদ ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ করেছে বাংলাদেশ সরকার।