বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে নিশ্চিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
বুধবার (১৮ মার্চ) মহাখালী থেকে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি জানান, সংক্রমণ রয়েছে এই সন্দেহে ১৬ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪২ জন। যে ৪ জন নতুন রোগী সংযোজিত হয়েছে তাদের একজন নারী, তিনজন পুরুষ। এদের মধ্যে একজন পূর্বে আক্রান্ত এক ব্যক্তির পরিবারের সদস্য। বাকি ৩ জন বিদেশ থেকে ভ্রমণ করে এসেছেন। এদের মধ্যে দুজন ইটালি থেকে এসেছেন, আরেকজন কুয়েত থেকে এসেছেন।
সংক্রমণ বেড়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ পর্যায়ে রয়েছে এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানান সেব্রিনা ফ্লোরা। এখন পর্যন্ত সবই ‘লোকাল ট্রান্সমিশন’ বা পারিবারিক সংক্রমণ ঘটেছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ আছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৭০ এর উপর। তিনি খুবই উচ্চঝুঁকির মধ্যে ছিলেন। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ফুসফুসের সমস্যা ও কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। তার হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বিদেশে যান নাই, কিন্তু বিদেশ ফেরত কারো মাধ্যমে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন।
করোনা প্রতিরোধে সাবধানতার পাশাপাশি জনসমাবেশ বন্ধের আহ্বানও জানান আইইডিসিআরের এ পরিচালক। বিপণী বিতান, শপিংমলে না যেতেও অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে সংক্রমণ বেড়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ পর্যায়ে রয়েছে এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানান সেব্রিনা ফ্লোরা। এখন পর্যন্ত সবই ‘লোকাল ট্রান্সমিশন’ বা পারিবারিক সংক্রমণ ঘটেছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।