মাত্র কয়েকটা দিন আগে অধিনায়ক হিসেবে বিদায়ের সময় মাশরাফি বিন মুর্তজাকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন এই তামিম ইকবাল। ব্যাপারটা প্রতীকী হয়ে গেল। মাশরাফির বিদায়ের পর সেই তামিম ইকবালের কাঁধে এবার চড়লো পুরো বাংলাদেশ দল। জাতীয় দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়েছে তাকে। নতুন এই দায়িত্ব পাওয়ার পর তামিম বলেছেন, এই পথচলায় সাফল্য-ব্যর্থতা দুটোই থাকবে। আর দুই অবস্থাকেই মেনে নিতে প্রস্তুত তিনি। মাশরাফির দায়িত্বটা পালন করতে গিয়ে মাশরাফিকেই প্রেরণা মানছেন তামিম।
বিসিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তামিম বলেছেন, ‘এটি আমার জন্য অনেক বড়ো সম্মান। এই দায়িত্বের জন্য আমার ওপর আস্থা রাখায় বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি জানি, মাশরাফি বিন মুর্তজার শূন্যতা পূরণ করা অনেক কঠিন ব্যাপার। বাংলাদেশ ক্রিকেটে তিনি সত্যিকারের গ্রেট এবং আমার ও আমাদের সবার জন্যই অনুপ্রেরণার প্রতীক।’
অধিনায়ক হিসেবে সাফল্য, ব্যর্থতা সবকিছুকেই আলিঙ্গন করতে হবে, জানেন তামিম। তাই সব পরিস্থিতিতেই সমর্থন চাইলেন সবার, ‘যে পথ চলা আমার শুরু হচ্ছে, তাতে ওঠা-নামা থাকবেই। আমরা সবাই চাই বাংলাদেশ দল সফল হোক। দল জিতলে গোটা জাতির জন্যই তা হয়ে ওঠে উত্সবের উপলক্ষ্য। আশা করি বোর্ড, সমর্থকেরা ও মিডিয়া আমাকে ভালো সময়ে যেমন, তেমনি খারাপ সময়েও সমর্থন করে যাবে।’
এর আগে তামিমকে লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়ক করা হচ্ছে জানিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘আপনারা জানেন যে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি অবসর নিয়েছে সে জায়গায় একজন অধিনায়ক নিয়োগ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আজ আমরা বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করেছি তামিম ইকবালকে অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডের জন্য।’
বোর্ড সভাপতি বলেছেন, তামিমকে তারা লম্বা সময় এই দায়িত্বে দেখতে চান, ‘একটা চিন্তা ছিল সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য করব, সামনের বছর আবার বদলাব। এখন এটা ভাবনায় নেই। সাধারণত বোর্ড যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সেভাবেই আমরা নিয়েছি—ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কোনো সময় বেঁধে দেওয়া নেই। আমরা চাই তামিম লম্বা সময় নেতৃত্ব দিক।’
গত বছর বিশ্বকাপের পরপর শ্রীলঙ্কা সফরে মাশরাফির চোটে বাংলাদেশকে তিনটি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তামিম। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডে একটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম চোটে ছিটকে যাওয়ায়। নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে তামিম-অধ্যায় শুরু হবে আগামী মাসের পাকিস্তান সফরে করাচির ওয়ানডে দিয়ে।