যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে দুই বাংলাদেশি মারা গেছেন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ বাংলাদেশি। দেশটিতে করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৫৮ জন। এদের মধ্যে কেবল নিউইয়র্কেই মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার। এমন পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে রোববার সন্ধ্যা থেকে নিউইয়র্কে লকডাউন ঘোষণা করেছেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।
যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড নাইটিন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত বাংলাদেশিদের সংখ্যাও। নিউইয়র্কে এরইমধ্যে দুই বাংলাদেশি মারা গেছেন বলে জানা গেছে। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা জানানো হলেও কারো পরিচয় প্রকাশ করছে না সরকার। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত খান শওকত জানিয়েছেন, তার কাছের একজন বৃহস্পতিবার মারা গেছেন।
নিউইয়র্ক ট্রাফিক পুলিশ খান শওকত বলেন অ্যাস্ট্রোরিয়াতে ও উড সাইডে একজন করে মারা গেছে। উড সাইডে যিনি ছিলেন তার বয়স ৬০ এর নিচে। অ্যাস্ট্রোরিয়ার যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৬০ এর ওপর। দুজনেই খুব ভালো মানুষ। কমিউনিটির সবাই তাদের চেনে।
মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বেড়েছে আতঙ্ক। বিশেষজ্ঞরা সবাইকে আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
নিউইয়র্ক সক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. লিনিয়া আহমেদ কিকি বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটি এবং আমেরিকান কমিউনিটি নিয়েই আমরা বেশ সচেতন। এ রোগ প্রতিহত করতে আমাদের মূল লক্ষ্যেই হচ্ছে একজন থেকে জন্য অন্যজনে না ছড়ায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায়, শুক্রবার নিউইয়র্ক, কানেকটিকাট ও ইলিনয়ে বসবাসকারী সবাইকে বাধ্যতামূলক বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নররা।
এর আগে ক্যালিফোর্নিয়ায়ও একই নির্দেশনা জারি করা হয়। এদিকে শুক্রবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট। তবে অতি জরুরি প্রয়োজনে হটলাইন নম্বর এ যোগাযোগ করা যাবে।
তিনটি অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা শুক্রবার বলেছেন, এ নির্দেশনা অমান্য করলে জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফলে রোববার থেকে কার্যত লক ডাউন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের আরও তিনটি স্টেট।