ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্স করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে সহকর্মীরা। সহকর্মীরা হোম কোয়ারেন্টাইনের আবেদন করলেও তাদের দাবি আমলে নিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, হাসপাতালে কর্মরত একজন সিনিয়র নার্স জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার পর ৫ দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন। ওই নার্সের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে রবিবার (১৯ এপ্রিল) নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বর্তমানে তিনি সুর্যকান্ত (এসকে) হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন।
তিনি আরও বলেন, ওই নার্স করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা কয়েকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের হোম কোয়ারেন্টাইনের দাবি আমলে না নিয়ে নিয়মিত ডিউটি করার কথা বলেছেন। এ অবস্থায় আমরা খুবই আতঙ্কে আছি।
মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, হাসপাতালে কর্মরত সবাইকে যদি হোম কোযারেন্টাইনে রাখি, তাহলে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হবে। আগামীকাল থেকে হাসপাতালে কর্মরত সকল স্টাফদের তিনটি টিমে ভাগ করে ডিউটি করানো হবে। প্রতি টিম ১০ দিন করে ডিউটি করবে। ১০ দিন ডিউটি শেষে ওই টিমের সবাইকে ১৪ দিনের হোম কোযারেন্টাইনে রাখা হবে।
তবে, যারা ওই নার্সের সংস্পর্শে এসেছে তাদের হোম কোয়ারেন্টানে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে আলচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন এবিএম মসিউর আলম বলেন, যারা করোনা আক্রান্ত ওই নার্সের সংস্পর্শে এসেছে তাদের হোম কোয়ারেন্টানে রাখা হবে। তাছাড়া হাসপাতালে কর্মরত সকলকেই করোনা পরীক্ষা করা হবেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে মুক্তাগাছা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক সদস্য ও হাসপাতালের নার্সসহ মোট তিন জন করোনায় আক্রান্ত হন।