ভারতের রাজধানী দিল্লির সরকারি একটি হাসপাতালে একজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পুরো হাসপাতাল। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, দিল্লির স্টেট ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের এক নারী ডাক্তারের কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। তিনি সম্প্রতি তার ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন, যিনি তার কয়েক দিন আগেই যুক্তরাজ্য থেকে ফিরেছেন। আজ হাসপাতাল বন্ধ রেখে সংক্রমণমুক্ত করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে দিল্লির আরেক মহল্লা ক্লিনিকের ডাক্তারের। এ নিয়ে এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বার মহল্লা ক্লিনিকের চিকিৎসকের করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ফল পজিটিভ এল। এর আগে দিল্লির মৌজপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকের একজন চিকিৎসক, তার স্ত্রী ও কিশোরী কন্যার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বাবরপুরে। বাবরপুর মৌজপুর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। ১২ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে সেখানে যতজন চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন, তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই চিকিৎসক সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন, নাকি বিদেশ ফেরত কারো সংস্পর্শে এসেছেন, তা এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
চলতি বছরের ১০ মার্চ সৌদি আরব থেকে ফেরা এক নারীর কাছ থেকেই প্রথম সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে দিল্লির মৌজপুরের কমিউনিটি ক্লিনিকে। যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ওই নারী গিয়েছিলেন, ওই ডাক্তারেরও করোনা ধরা পড়ে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এখনই বন্ধ করা হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।