রাজধানীর ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া এলাকায় শিফা গার্মেন্টে উৎপাদনের অনুমোদন না থাকলেও ওই গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ লকডাউনভুক্ত নারারয়ণগঞ্জ ও আশপাশের শ্রমিক নিয়োগ করে উৎপাদন শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে দ্রুত সারুলিয়া এলাকাসহ ডেমরার আশপাশে করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে নতুনভাবে শিফা গার্মেন্ট করোনাভাইরাসে লকডাউনভুক্ত নারায়ণগঞ্জ ও আশপাশের এলাকার অন্তত ৮০ জন গার্মেন্ট শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ বলেন গার্মেন্ট চালু নয়, শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনায় রোববার সারুলিয়ার অধিবাসীরা গার্মেন্টে গিয়ে বাধা দিলে শিফা গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকের বিষয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় খবর পেয়ে ডেমরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার সত্যতা পায়। পরক্ষণে কর্তৃপক্ষকে ডেমরা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ডেমরা থানার ওসি মো. সিদ্দিকুর রহমান শিফা গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উৎপাদন করার অনুমোদনের কাগজ চাইলে তারা দেখাতে ব্যর্থ হন। এ সময় ওসি কারখানাটি বন্ধের নির্দেশসহ দ্রুত নারয়ণগঞ্জের শ্রমিক অপসারনের জন্য আদেশ দেন।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিফা গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা কোনভাবেই লকডাউনভুক্ত নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্ট শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে পারবেনা। এতে সহজেই এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকে। এছাড়া লকডাউনের এ জরুরী মুহূর্তে গার্মেন্টটি চালানোর অনুমোদন পত্র তারা দেখাতে পারেনি। এক্ষেত্রে পরবর্তীতে অনুমোদন পত্র দেখাতে পারলেও নারায়ণগঞ্জের কোন গার্মেন্ট শ্রমিক এখানে কাজ করতে পারবেনা।