নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ৩নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড নলুয়া গ্রামে সীমানা বিরোধে কলাগাছকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৬জন আহতের ঘটনা ঘটে।
শনিবার ১৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভুক্তভোগীর বসত ঘরে হামলা চালিয়ে এ ঘটানা ঘটায় একই এলাকার সন্ত্রাসী দুলাল বাহিনী সহ আরো ১৫/২০ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় নুর উদ্দিনের সাথে পাশ্ববর্তী সোলায়মানের দীর্ঘদিন যাবত বাড়ির সীমানা ও ঘরের উপরে থাকা গাছ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এমতবস্থায় গত ১৬এপ্রিল দিবাগত রাতে ঝড়ো হাওয়ায় সীমানায় থাকা একটি কলাগাছ ভেঙ্গে সোলায়মানের ব্যাবহৃত টয়লেটের উপর পড়লে সকালে সোলায়মান দেখতে পেয়ে গাছে থাকা কলাগুলোকে গাছের গোড়ায় রেখে দেন। তার কিছুক্ষণ পরে পাশ্ববর্তী নুর উদ্দিনের শ্বশুর সোলায়মান এসে অতর্কিত ভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ভুক্তিভোগী পরিবারের ৬জন গুরুত্বর আহত হন। আহতরা হলেন, সোলায়মান, বাবলু, ইরাক, নুর জাহান বেগম, আব্দুস ছালাম ও তাছলিমা বেগম। এরপর দুপক্ষই এলাকার মান্যগণ্য ব্যাক্তিদের কাছে বিচার প্রার্র্থী হলে বিচারকরা দুপক্ষের কাছ থেকে মুছলেখা নিয়ে পরদিন শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে ১০হাজার টাকা জামানত দিতে বললে উভয় পক্ষ সম্মতি প্রকাশ করেন।
এরই মধ্যে সকাল হতে না হতেই নুর উদ্দিন ও তার বায়রা ভাই দুলাল সহ একদল সন্ত্রাসী ভুক্তভোগীর বাড়ি ঘেরাও করে বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে চলে যান।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকের হোসেন বাসু মেম্বার সহ বিচারকরা বলেন, বিষয়টা আমাদের কাছে আসার পর আমরা সামাজিক ভাবে বসে সমাধান করার লক্ষে দু পক্ষের কাছ থেকে মুছলেখা নিয়ে জামানতের মাধ্যমে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমতবস্থায় প্রতিপক্ষ পুনরায় হামলায় জড়িয়ে পড়ায় আমরা এই বিচার করার মত কোন পরিবেশ না থাকায় ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান করি। পরে ইউপি সদস্য জাকের হোসেন বাসু মেম্বার বলেন, দুলাল একজন সন্ত্রাসী সে অত্র এলাকায় এগুলো করে বেড়ায়।