ডেমরায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখেই ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ডেমরা থানা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সিফাত সাদেকিন চপল ত্রান নিয়ে উপস্থিত হলেন কয়েকদিন যাবত অনাহারী দুস্থদের বাড়িতে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, “সালে অাহমেদ সালে ” নামে এক সাংবাদিক তার ফেসবুক অ্যাকাউণ্টে একটি পোস্ট দেয়।ডেমরায় ৩ টি পরিবারের প্রতি কেউ একটুকু ও করছে না করুণা ও সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে এই তিনটি পরিবার শীর্ষক স্ট্যাটাস। স্থানীয় লোকজন, জনপ্রতিনিধি কেউ তাদের খোজ খবর নেয়নি।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) রাত ৮ টায় চাল, ডাল, আলু, সাবান সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেন।
মো.ফজলুল করিম অপূর্ব জানান, এলাকায় এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা অনাহারে-অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু লোকলজ্জায় কারও কাছে চাইতে পারছেন না।স্থানীয় সাংবাদিক সালে অাহমেদের পোস্ট দেখে অামি তার পোস্টটি কপি করে অাবার পোস্ট দেই সাথে সাথে ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সিফাত সাদেকীন চপল ভাই অামাকে ফোন করে বলে যে দ্রুত যোগাযোগ করে তাদের কে ত্রান দিয়ে অাসতে,ভাই মানবতার ফেরিওয়ালা জননেতা মনে জনমানুষের নেতা এভাবেই মানুষের জন্য এগিয়ে যায়। ভাইয়ের একজন কর্মী হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হয়, মানবিকতার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ভাইজান।
এ সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে তারা বলেন, করোনার কারনে বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে আমাদের। আমি ত্রান পাবো ভাবতেই পারিনি। আমার মনে হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশে আপনারা আমাদের জন্য ত্রান নিয়ে এসেছেন। দোয়া করি আল্লাহ আপনার ভাল করুন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিফাত সাদেকিন চপল বলেন,ফেসবুকে একটা পোস্ট দেখে উক্তি লোকগুলোর সন্ধান নিই তারপর তাদের পাশে সাধ্যমত দাড়াই।তিনটি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে পেরেছি। আমার আন্তরিকভাবে খুব ভালো লাগছে অন্যরকম শান্তি লাগছে। আমি চাই আরো গরীব গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং আমার সাথে যারা রয়েছেন তারাও গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি গরীব ও অসহায় মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করতে পারি।