২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

আমাদেরও আছে একজন শেখ হাসিনা 

সারা বিশ্বের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত,আলোচিত ও প্রশংসিত প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার নানা কর্মকাণ্ডে তিনি সারা বিশ্বে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন। সাম্প্রতি মহামারী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ তাণ্ডবে কাঁপছে পুরোবিশ্ব। করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে এখন এক আতঙ্কের নাম। ঠিক তখনই ক্যানাডার মানুষের পাশে থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, চলমান কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) প্রাদুর্ভাবের কারণে তার সরকার কানাডিয়ানদের অর্থনৈতিক দৈন্য-দশায় পড়তে দেবে না। নিজের স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বাস্থ্য, চাকরি, বাড়ি ভাড়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। সব সরকার দেখবে।

কিন্তু আমরাও কম কিসের? আমাদেরও আছে একজন শেখ হাসিনা। করোনার ভয়াল থাবায় যখন পুরো বিশ্ব লণ্ডভণ্ড। যেখানে প্রায় তিন লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ঠেকাতে পারছে না দেশে মৃত্যুর মিছিল। যেখানে দিশেহারা বিশ্ববাসী! সেখানে আমাদের আশ্রয়ের শেষ স্থল,আমাদের মানবতার মা, জননেত্রী, বিশ্ব মডেল, আমাদের আশার প্রদৃপ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার পার্দুভাব ঠেকাতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন ।

বিশ্বের প্রশংসনীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দেশ ক্যানাডা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তর দেশ। কানাডা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি। দেশটি অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এবং জি ৮ গ্রুপের সদস্য। অর্থনীতির সিংহভাগ সেবামূলক শিল্প নিয়ে গঠিত। প্রায় তিন চতুর্থাংশ কানাডাবাসী কোন না কোন সেবা শিল্পের সাথে যুক্ত আছেন। দেশটির মোট আয়তন ৯৯,৮৪,৬৭০ বর্গকিলোমিটার। বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৩৭,০৬৭,০১১ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটার ৩.৯২ জন। মোট জিডিপির হার $১,৮৪,৭০০ কোটি। মাথাপিছু আয় $৪৯,৭৭৫। দেশটির প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষই শিক্ষিত। বিশ্বে কোয়ালিটি এডুকেশন বললেই সবার প্রথমে আসে কানাডার নাম। দেশটিকে শিক্ষার ক্ষেত্রে সুপার পাওয়ার বলা হয়। বিশ্বে টপ এক হাজার ইউনিভার্সিটির মধ্যে কানাডাতে আছে ২৬টি। এছাড়াও কানাডার মানুষ অনেক সচেতন।

এদিকে বাংলাদেশ বিশ্বের দেশ গুলোর মধ্যে একটি নিন্ম মধ্যবৃত্ত এবং ঘনবসতি দেশ। এদেশের মানুষ কৃষি নির্ভর। ১,৪৭,৬১০ বর্গ কি.মি জুড়ে এই দেশটিতে প্রায় ১৭ কোটি লোকের বসবাস। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,১০৬ জন । মোট জিডিপি হার $৮৩১.৭৫০ বিলিয়ন। মাথাপিছু আয় $৪,৫৬১। বর্তমানে বাংলাদেশের স্বাক্ষরতার হার শতকরা ৭৩ দশমিক ৯। অধিক জন সংখ্যার কারণে বাংলাদেশের মানুষ অনেকটা অসচেতন। কানাডার সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করলে বাংলাদেশ অতি নগন্য। কানাডার জনগনের কাছে তাদের সরকারের নির্দেশনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ,আমাদের বাংলাদেশের সরকার কোন নির্দেশনা দিলে মানুষ এর বিকল্প পথ খুজে নেয়। যার উদাহরণ বর্তমান পরিস্থিতি। সরকার আমাদের রক্ষা করতে বার বার ঘরে থাকার নির্দেশনা দিলেও আমরা আরও বেশি করে বের হচ্ছি। এর পরেও বাংলাদেশের এতটা অসচ্ছলতার মাঝেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তিক্ষ্ন বুদ্ধিতে দেশে করোনা মোকাবেলা করছে তাতে তার কর্মকাণ্ড জাস্টিন ট্রুডোকেও ছাড়িয়ে গেছে।

গত ডিসেম্বরের শেষে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখায় তখন আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ‘কন্ট্রোল রুম’ খুলে রোগটি মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করা হয়। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও খোলা হয় ‘কন্ট্রোল রুম’। জানুয়ারি থেকেই দেশের সকল বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর এবং স্থল বন্দরে বিদেশ প্রত্যাগতদের থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের মাধ্যমে স্ক্রিনিং করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় কমিটি এবং বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি গঠিত হয়েছে। হটলাইনে দেওয়া হচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য ও চিকিৎসাসেবা। সংগ্রহ করা হয়েছে পর্যাপ্ত পিপিই এবং টেস্টিং কিটস। রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনে ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৫ হাজার ৫৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশব্যাপী ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ রোগের পরীক্ষা এবং চিকিৎসা চলছে সুষ্ঠুভাবে।আমাদের মানবতার মা শেখ হাসিনার সময়োচিত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে এখনও বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেনি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

গত ৮ মার্চ দেশে যখন প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়, সেদিনই গণভবনে তৎক্ষণাৎ সভা ডেকে মুজিববর্ষের সব অনুষ্ঠান স্থগিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনকল্যাণের কথা বিবেচনা করে জাতির পিতার কন্যা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি দীর্ঘদিনের আরাধ্য বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা স্থগিত করতে। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। ২৬ মার্চ হতে অফিস-আদালতে সাধারণ ছুটি এখনো বলবৎ রয়েছে। জরুরি সেবা কার্যক্রম ছাড়া সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সিংহভাগ শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। স্থগিত রয়েছে গণপরিবহন, রেল ও বিমান চলাচল।গত ৩১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৬৪টি জেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সে সরাসরি কথা বলেন। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভাগওয়ারি প্রতিটি জেলার সঙ্গে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে ভিডিও কনফারেন্স চালিয়ে যান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তিনি প্রান্তিক পর্যায়ের খোঁজ-খবর নেন, সমস্যা জানতে চান এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। সবাইকে তিনি অবিরাম সাহস যুগিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬৪ জেলায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও ত্রাণ বিতরণসহ সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকারের ৬৪ জন সিনিয়র সচিব/সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছেন। জাতির এই ঘোরতর সংকটে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের একটি জেলার সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়ে তিনি একজন বিচক্ষণ সরকার প্রধানের মতো কাজ করেছেন। লকডাউনের কারণে ধান কাটার জন্য কৃষি শ্রমিকের অভাব দেখা দিতে পারে মনে করে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার নিজের রাজনৈতিক দল এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধান কাটার আহ্বান জানান। নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষক লীগ সফলতার সঙ্গে সারাদেশে ধান কাটা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, হাওড় অঞ্চলসহ যে সকল এলাকায় ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে, সেখানে কম্বাইন্ড হারভেস্টার সরবরাহ করেছে সরকার। ফলে আগাম বন্যার আগেই যথাসময়ে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন কৃষক।বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন,১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়,নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মাঝে অর্থ বিতরণ,বয়স্ক ভাতা ও বিধবা/স্বামী নিগৃহীতাদের ভাতা’র আওতা সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় শতভাগে উন্নীত করা এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত অন্যতম কার্যক্রম গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহনির্মাণ- সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের এই কর্মসূচিগুলি করোনা পরিস্থিতিতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাস্তবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। ১০ টাকায় চাল পেতে নতুন ৫০ লাখ রেশন কার্ডসহ মোট ১ কোটি রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে ১ কোটি পরিবারের ৫ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। চলতি মে মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। ২৬ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ কোটি টাকার নগদ অর্থ সহায়তা এবং ১ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নিম্ন আয় ও কর্মহীন মানুষদের মাঝে। অন্যদিকে, শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

করোনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবার যারা অন্য কোন সরকারি সহায়তা পায় না, তাদেরকে মোবাইল ব্যাংকিং- এর মাধ্যমে পরিবার প্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা এককালীন নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। যা বিশ্বের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত কোন দেশ করে দেখাতে পারেনি। এখানেই শেষ নয়, দেশব্যাপী এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৭ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে ত্রাণ দিয়েছে সরকার। দফায় দফায় তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।ডায়নামিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন,যা জিডিপির ৩.৫ শতাংশ। পোশাক শ্রমিকদের শতভাগ বেতন নিশ্চিত করতে তিনি ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কৃষি ও কৃষকের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠন করেছেন তিনি। আগামী বাজেটে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বোরো মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া সহজ শর্তে, জামানত ছাড়াই নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। সারাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোতে ৮ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস দুর্যোগে সব ধরনের ঋণের সুদ আদায় ২ মাস বন্ধ রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেন তিনি।করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সম্মুখ সারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রত্যক্ষভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ পুরষ্কার ও প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন তিনি। এছাড়া এ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ডাক্তার, সবধরনের স্বাস্থ্যকর্মী, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবি সদস্য এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মচারীদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দায়িত্ব পালনকালে যদি কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে চিকিৎসা ছাড়াও পদমর্যাদা অনুযায়ী প্রত্যেকের জন্য থাকছে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার এককালীন নগদ আর্থিক সহায়তা এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৫ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৫০ কোটি টাকা।

এই চরম দুঃসময়েও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর কথা ভোলেননি মাদার অফ হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা। সার্বিক পরিকল্পনায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও তিনি অন্তর্ভুক্ত করেন।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বসে সফল নারী নেতৃত্বের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের প্রশংসা করে ম্যাগাজিনে লেখা হয়েছে, প্রায় ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস বাংলাদেশে। সেখানে দুর্যোগ কোনো নতুন ঘটনা নয়। আর এই করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি তিনি (শেখ হাসিনা)। তার এই তড়িৎ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম (উই ফোরাম) বিষয়টিকে ‘প্রশংসনীয়’ বলে উল্লেখ করে। ম্যাগাজিনে আরো বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা এখনো কার্যকর করতে পারেনি যুক্তরাজ্য।‘অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা করে মানুষের জীবিকা রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ব বিখ্যাত দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকায় প্রশংসা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এখন অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের ওপরে। এমনকি ভারত, পাকিস্তান, চীনের চেয়েও এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেক ভালো।’

দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছেন আজকের পরিপক্ক রাজনীতিবিদ “শেখ হাসিনা”। প্রবল দেশপ্রেম এবং গণমানুষের প্রতি তীব্র দায়বদ্ধতা “জননেত্রী” হিসেবে তাঁকে পরিচিত করেছে। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন-অভিজ্ঞ সরকার প্রধান হিসেবে তাইতো তিনি দ্রুততার সঙ্গে নিতে পেরেছেন একের পর এক সঠিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত। ১৯৭১ সালে যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের মনে আশা জাগিয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছেন ঠিক তেমনি বর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা , আমাদের আশা আকাঙ্খা বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে আশার আলো দেখিয়ে যাচ্ছেন। আবির্ভূত হয়েছেন বাঙালির ‘বাতিঘর’ হিসেবে। এই চরম সংকটের সময় শেখ হাসিনার মত একজন সাহসী, বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতাকে আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে পেয়েছি- এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাইতো আজ আমি গর্বের সাথে বলতে পারি‘ আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি কিন্তু আমি একজন শেখ হাসিনাকে দেখেছি। আমরা আশা করছি আমাদের দেশনেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই এদেশ করোনা মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ এবং আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে বলবো দেখ আমাদের ও আছে একজন শেখ হাসিনা।

লেখকঃ সাংবাদিক,কলামিস্ট,সাবেক ছাএনেতা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

(Visited ৩৭ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
করোনায় সারাদেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৯৮
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পেপসির সঙ্গে বিষ খাইয়ে খুন, যুবকের যাবজ্জীবন
চাল আমদানির সুযোগ পাচ্ছে ১২৫ প্রতিষ্ঠান
প্রধানমন্ত্রী সন্তানদের সাথে পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ