২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

গ্রীসে এ্যাসাইলাম প্রার্থীদের জন্য লাল সতর্ক সংকেত

আশ্রয় প্রার্থী দের জন্য সংসদে কিছু আইন পাশ করা হয়েছে। মূলত গ্রীসের (βελτίωση της μεταναστευτικής νομοθεσίας) আশ্রয় ও অভিবাসন আইনের ৫২,৫৩,৫৪,৫৫,৫৬ ,৫৮,৫৯ নং ধারায় কিছু রদবদল করা হয়েছে। গত ৫ই মে সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয় এবং ৮ ই মে ২০২০ ইং রোজ শুক্রবার সংসদীয় ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গুলো চূড়ান্ত করা হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৫৮ টি ও প্রস্তাবটির বিরোধীতা করে বিপক্ষে। ভোট দিয়েছেন ৫৬ জন এমপি। প্রধান বিরোধী দল (ΣΥΡΙΖΑ) সিরিজা আলেক্সিস সিপ্রাসের নেতৃত্বে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভোট না দিয়ে ৮৬ জন এমপিসহ ওয়াক আউট করে সংসদ ত্যাগ করেন। যদি সিরিজা ভোটও দিত তারপরও বিপক্ষে ভোট পড়ত ১৪২।

অর্থাৎ (ΝΔ)নেয়া ডেমোক্র্যাটদেরা জয়লাভ করা মানেই বিদেশী ও আশ্রয় প্রার্থীদের উপর জুলুম নির্যাতনের খড়গ নেমে আসা। তাদের বিগত শাসনামলেও আমরা দেখেছি তাদের বেআইনী ফ্যাসিস্ট আচরন, পুলিশী রাষ্ট্র গঠন, গণ গ্রেফতার, ১৮ মাস ক্যাম্পে আটকে রাখা ইত্যাদি। পক্ষে ভোট দিয়েছে (ΝΔ)নেয়া ডিমোক্রাতিয়া ও বিপক্ষে ভোট দিয়েছে (Κινήματος Αλλαγής) কিনিমা আলাগিস , (ΚΚΕ) কাপা কাপা এপসিলন , (Ελληνικής Λύσης) এলিনিকিস লিসিস এবং ভারুফাকিসের (ΜέΡΑ25) মেরা২৫ এর মত ছোট ছোট দলগুলো।

২৮ টি ক্যাম্প নির্ধারণ করা হয়েছে অবৈধ রিফুজী ও অভিবাসীদের আটকে রাখা ও ডিপোর্ট করার জন্য।
১ লা মার্চ থেকে ৩১ শে মার্চ এর মধ্যে যারা গ্রীস প্রবেশ করেছে তাদের আশ্রয় আবেদন গ্রহণ করা হবে না, কোন ধরনের সরকারী সুবিধা দেয়া হবে না এবং পুণরায় (তুর্কীতে) ফেরত পাঠানো হবে। তৃতীয় বিশ্বের কোন অর্থনৈতিক অভিবাসীকে আশ্রয় দেয়া হবে না, কোন সঠিক তথ্য প্রমাণাদি না থাকলে কোন আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আবেদন রিজেক্ট হলে আপনাকে ডিপোর্টের আসামী হয়ে ডিটেনশনে থাকতে হবে, আপীল করা সহ ফেরত পাঠানো সম্পন্ন করার জন্য ৩ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত ক্যাম্পে বন্দী থাকতে হবে। ফেরত যেতে না চাইলে আরো ১৮ মাস জেল দেয়া হবে। অর্থাৎ টোটাল ৩৬ মাস ডিটেনশনে থাকতে হবে ও ডিপোর্টের কার্যক্রম চলতে থাকবে। আগে ইন্টারভিউতে ২ জন গ্রীক বিচারক সহ জাতীসংঘের একজন অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে আবেদন যাচাই-বাছাই করা হত। এখন শুধু ১ বা ২ জন গ্রীক বিচারক সিদ্ধান্ত নেবে, UNHCR এর কেউ থাকতে পারবে না। আবেদন গৃহীত না হলে কেউ স্বাস্থ্য পরিসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা নাম্বার বা কার্ড পাবে না। আপীল করলে
সর্বোচ্চ ২ /৩ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি।

তাদের এমন মনগড়া সিদ্ধান্ত সমূহ আন্তর্জাতিক আইন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের আইন, মানবাধিকার আইন ও জেনেভা কনভেনশন রেগুলেশনের পরিপন্থী।করোনা পরিস্থিতিতে রিফুজীদের সুরক্ষা না দিয়ে এমন অমানবিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এ্যামনেস্টি, অক্সফাম, গ্রীক রিফুজী কাউন্সিল, একশন এইড হেলাস, মেডিসিনস্ ডে মন্ডে, আরসিস সহ ১২২ টি সরকারী বেসরকারী সংস্থা । তারা গ্রীক সরকারের জাতীয় ও ইউরোপীয় আইন বিরোধী এরকম সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করে বক্তব্য দিয়েছে ও স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। এবং এমন সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে শুক্রবারেই গ্রীক সংসদের সামনে প্লেকার্ড প্রদর্শন করে নানা সংগঠনের লোকজন।

(Visited ৫৫ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
করোনায় সারাদেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৯৮
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পেপসির সঙ্গে বিষ খাইয়ে খুন, যুবকের যাবজ্জীবন
চাল আমদানির সুযোগ পাচ্ছে ১২৫ প্রতিষ্ঠান
প্রধানমন্ত্রী সন্তানদের সাথে পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ