১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা তৈরী করলো ত্রাণ চুরি রোধ করা সফটওয়্যার

বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনার আঘাতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্নক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এর ব্যাতিক্রম নয়। চলমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল দরিদ্র, মধ্যবিত্ত ও দুস্থদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু কিছু দুষ্টু চক্র, অসাধু প্রতিনিধি এসব ত্রাণ চুরি করছে যা খুবই লজ্জাজনক।

এমতাবস্থায় করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় নানামুখী সমস্যা (ত্রাণ আত্মসাৎ, বিতরণের তথ্যের অভাব, সমন্বয়হীনতা) সমাধান ও ত্রাণ চুরি রোধ করবে সফটওয়্যার। প্রযুক্তিবিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে এ সফটওয়্যার তৈরি করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এদের মধ্যে রয়েছেন- ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান ও সায়েম উল আলম, সিএসটিই বিভাগের শিক্ষার্থী আকিফ জামান ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান বিল্লাহ।

এ বিষয়ে উদ্ভাবনী দলের সদস্য তাহমিদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান করোনা মহামারিতে সুষ্ঠু ত্রাণ বিতরণ নিশ্চিতকরণ ও ত্রাণ চুরি রোধ করতে পাবরে, আমরা ওয়েবসাইট ভিত্তিক এমন একটা সফটওয়্যার তৈরি করছি। এর মাধ্যমে ত্রাণপ্রত্যাশী ব্যক্তি নিজে আবেদন করাতে পারবেন অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে তথ্য দিয়ে অন্য কারো মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আমাদের সেন্ট্রাল ডাটাবেজে তথ্যগুলো জমা হতে থাকবে। পরবর্তীতে এই আবেদনের তথ্যগুলো জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ভেরিফিকেশন করে লিস্ট করা হবে, যা ওয়েবসাইটটির এডমিন দেখতে পারবেন। ওই লিস্ট থেকে ত্রাণের সরবরাহের উপর ভিত্তি করে এডমিন কর্তৃক কিছু সিলেক্টেড ব্যক্তিদের কাছে সয়ংক্রিয়ভাবে ফোনে একটি ইউনিক কোড এবং ত্রাণ সংগ্রহ করার স্থান সম্বলিত একটি এসএমএস চলে যাবে। ত্রাণ বিতরণ করা হবে এটিএম মেশিনের মাধ্যমে।’

এটিএম মেশিনে ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে তাহমিদুর রহমান আরও বলেন, ‘এটিএম মেশিনে প্রথমে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া ইউনিক কোডটি দিতে হবে। পরবর্তীতে এটিএম মেশিন ডাটাবেজের তথ্যের সাহায্যে তথ্য ভেরিফিকেশন করবে এবং তথ্য সত্য হলে মেশিনের সাহায্যে অটোমেটিক ত্রাণ বিতরণ শুরু হবে।’

‘মেশিনের সাথে একটি ওয়েট সেন্সর লাগানো থাকবে, যার সাহায্যে ত্রাণের পরিমাপ করা যাবে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ ত্রাণ বিতরণের পর মেশিনটি অটোমেটিক ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করে দেবে। এর ফলে নির্দিষ্ট পরিমান ত্রাণ বিতরণ করা সম্ভব এবং এটিএম মেশিনের মাধ্যমে বিতরণকৃত ত্রাণের পরিমাপ করার পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণের তথ্য সেন্ট্রাল ডাটাবেজের সার্ভারে পাঠানো সম্ভব। ফলে মানুষ দেখতে পারবে সরকার থেকে কী পরিমাণ ত্রাণ সরবরাহ করা হয়েছে এবং জনগণের কাছে কী পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছাছে’, বলেন তিনি।

তাহমিদুর রহমান আরও বলেন, ‘এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় নানামুখী সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা এমন একটি সিস্টেম তৈরির পরিকল্পনা করি, যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জেলাভিত্তিক ত্রাণ সরবরাহের আপডেট জানা যাবে। এছাড়াও ত্রাণ বিতরণের তথ্য আমাদের ডাটাবেজে জমা থাকবে, ফলে সবাই পর্যায়ক্রমে ত্রাণ পাবেন।’

ওয়েবসাইটটি হচ্ছে- (http://tranbitoron.eeenstu.ac.bd./)। ওয়েবসাইট ভিত্তিক সফটওয়্যারের কাজ শেষ। কিন্তু পরিপূর্ণ এটিএম মেশিন তৈরি করার জন্য ফান্ডিং প্রয়োজন। ফান্ডিং পেলে আমাদের এই সিস্টেমটি বৃহত্তর পরিসরে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ত্রাণের সুষম বণ্টন নিশ্চিতকরণ এবং ত্রাণের চুরি রোধে কাজ করবে।’

(Visited ৫৪৩ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
করোনায় সারাদেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৯৮
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পেপসির সঙ্গে বিষ খাইয়ে খুন, যুবকের যাবজ্জীবন
চাল আমদানির সুযোগ পাচ্ছে ১২৫ প্রতিষ্ঠান
প্রধানমন্ত্রী সন্তানদের সাথে পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ