ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের চরপাড়া এলাকার আরাফাত নামের এক কিশোরকে গত ২০শে এপ্রিল তার পিতা ভর্তি করেন ময়মনসিংহ নগরীর এস কে হাসপাতালে। ভর্তির দুদিন পর ২২শে এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরাফাত হোসেন নামের ঐ কিশোর। কিন্তু করোনা সন্দেহের কারণে লাশ নেয়নি তার পিতা ও স্বজনরা। যদিও মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় আরাফাতের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এরপরও ৪৩ দিন যাবত ময়মনসিংহ মেডিকেলের হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে ওই কিশোরের লাশ। মারা যাওয়ার ৪২ দিন পর তার পতিা মজনু মিয়া লাশ নিতে লিখিতভাবে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
এরপরও মৃত আরাফাতের মরদেহ তার পরিবার গ্রহণ না করায় মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
মৃত্যুর ৪২ দিন পর বুধবার আরাফাতের পিতা কোতোয়ালী থানায় লিখিতভাবে লাশ গ্রহণের অনিচ্ছার কথা জানান। পরিবার এবং এলাকাবাসীর নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেন বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন তার পিতা মজনু মিয়া।এদিকে আরাফাতে লাশ দাফনে আগ্রহ প্রকাশ করেন তার পিতা মজনু মিয়া।
আজ সন্ধ্যা ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিচ্ছুজামান আনিছ,সুজন ময়মনসিংহ মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ, ময়মনসিংহ সদর থানার পুলিশ ও বৈশাখী টেলিভিশনের ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি আনম ফারুক আহমেদ এর মধ্যস্হতায় কিশোর আরাফাতের পিতা মজনু মিয়া নিকট তার ছেলের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ রাতে ত্রিশালে মৃত আরাফাতের দাফন করা হবে।