৭১ টেলিভিশনের ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম টিটোর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.কাছেদ আলী(৭০) শনিবার ভোর পৌনে ৬টায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…. রাজিউন)।
মরহুমের গ্রামের বাড়ি গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে ও বর্তমান ঠিকানা বোয়ালমারী পৌরসদরের আধারকোঠায়। তিনি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের উপপরির্দশক ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি চাকুরী থেকে অবসরে যান।
মৃত্যকালে তিনি দুই সন্তান ও এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। আজ বেলা ২টায় বাদ জোহর বোয়ালমারী ছোলনা সালামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান শেষে তাকে ছোলনা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার সকালে শারীরিক ভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় ৯৯৯ লাইনে কল করে এম্ব্যুলেন্স নিয়ে এসে তাকে প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতেল পাঠায়। ভোর রাত সাড়ে ৫টায় তাকে সেখানে ভর্তি করা হলে সেখানে ভোর পৌনে ৬টায় তিনি মারা যান।
এবিষয়ে সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম টিটো বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আমার পিতা অসুস্থ্য অনুভব করলে আমরা দ্রুত তাকে প্রথমে বোয়ালমারী হাসপাতাল সেখান থেকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন এখানে নিয়ে আসার পর তার চিকিৎসার যে ধরনের প্রাপ্যতা দরকার ছিলো তা তিনি পাননি। তিনি আরো বলেন আমার পিতার যখন খুব খারাপ অবস্থা তখন আমরা নার্সদের ডাকলেও তারা আসেনি।
এদিকে তার পিতার মৃত্যুতে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকসহ জেলা-উপজেলার সকল সাংবাদিকরা শোক জানিয়েছেন।