১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

বাজেটের ঘাটতি পূরণে সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা

জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য মোট পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। সংকটের মধ্যে বিশাল অঙ্কের বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে তিন লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। এই বিশাল বাজেটের ঘাটতি পূরণে সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২০–২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় এই তথ্য জানান।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে করবহির্ভূত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার তিন কোটি টাকা।

এই বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ছয় শতাংশ।

এ বিশাল ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করবে, অঙ্কে যা ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে (সংশোধিত) যা আছে ৫২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা।

ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকার এক লাখ নয় হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। অভ্যন্তরীণ উৎস অর্থাৎ ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতির বড় একটি অংশ পূরণ করা হবে। নতুন অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেওয়া হবে ৫৩ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। আর স্বল্পমেয়াদি ঋণ থাকবে ৩১ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা।

এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। অন্যান্য ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে চায় সরকার।

প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বাজেট গতানুগতিক হচ্ছে না। বরং সরকারের অতীতের অর্জন ও উদ্ভূত পরিস্থিতির সমন্বয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা‘ শিরোনামের এই বাজেটে সঙ্গত কারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্য খাত। পাশাপাশি কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরির প্রতি দেওয়া হচ্ছে অগ্রাধিকার।

অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এসব অগ্রাধিকার খাতের পাশাপাশি বাজেটে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন প্রস্তাব থাকবে। ২০০৯ সাল থেকে একাধিক্রমে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এটি হচ্ছে দ্বিতীয় বাজেট।

করোনা সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এবারের বাজেট অধিবেশনে মিডিয়া কাভারেজের জন্য সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নেই।

(Visited ১৮ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

টাটা পাওয়ার ডিডিএল ও ব্লকনটসের মধ্যে চুক্তি
ওমেন্স ইরার সবচেয়ে বড় বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত
মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালা দিবসে ফেনীতে র‍্যালী
মুসলিম মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্টের সমাবেশ
যে কোন ব্রান্ডের মোবাইল ক্রয়ে পাচ্ছেন আজীবন সার্ভিস ওয়ারেন্টি
মহররম ঈমানী শোক ও ঈমানী শপথের মাস, আনন্দ উদযাপনের নয় – আল্লামা ইমাম হায়াত
আমেরিকা থেকে বিনিয়োগ পেল ‘অন দ্য ওয়ে’
ঈদ আনন্দ মুখর হয়ে উঠুক ফয়’স লেক এ