নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে থানার বেলতলী বালাপাড়া গ্রামের গৃহবধু শ্যামলী হত্যার প্রধান আসামী স্বামী আসিফুল ইসলাম টাইগার ও শশুর এলাহি বকস কান্দুরাকে গ্রেফতার করেছে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১০ই জুলাই) জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম পিপিএম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কিশোরগঞ্জে থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে চাড়ালকাটা নদীতে গত ৬ ই জুলাই একজন মহিলার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে নিহতের বাবা-মা তাদের কন্যা গৃহবধু শ্যামলির লাশ বলে শনাক্ত করেন। কিশোরগঞ্জে থানার বেলতলী বালাপাড়া গ্রামের এলাহি বকশ কান্দুরার ছেলে আসিফুল ইসলামের সাথে ৫ বছর আগে বিয়ে হয় মৃত শ্যামলীর।
গত ৩ ই জুলাই আশিফুল ইসলাম ও শ্যামলীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ড হয়। একপর্যায়ে স্বামী রাতেই তাকে শ্যামলীকে তার বাপের বাড়ীতে যেতে বলে। শ্যামলী তার বাপের বাড়ী না গেলে পরের দিন সকালে দেখে বাপের বাড়ী যায় নি বলে উত্তেজিত হয়ে মারধর করে। ওই দিন রাত ৮ টায় স্বামী আশিফুল পুনরায় রাগ হয়ে বাশের লাঠি দিয়ে শ্যামলীর গলার ডান পার্শ্বে ও ডান পাজরে আঘাত করলে শ্যামলী জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায় এবং স্বামী বুঝতে পারে শ্যামলী মারা গেছে এবং এক পর্যায়ে রাত আনুমানিক ১০ টায় স্বামী আশিফুল ইসলাম, শশুর এলাহি বকস কান্দুরা ও শাশুড়ী আসফিয়া বেগমের শলা পরামর্শে চাড়ালকাটা নদীতে ফেলে দিয়ে আসে।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জ থানায় ধারা-৩০২/২০১/৩৪ মামলা রুজুর করা হয়। এবং বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আসামী স্বামী আশিফুল ইসলাম ও এলাহি বকশ কান্দুরা হত্যার দায় স্বীকার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, অপরদিকে ডোমার থানা পুলিশ কর্তৃক নিরবচ্ছিন্ন অভিযানে নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলা হতে চুরি যাওয়া ৪টি মোটর সাইকেল উদ্ধারসহ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর দলের একাধিক মামলার ০৪জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। সৈয়দপুরে একটি প্লাটিনা চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোরাই মোটর সাইকেল সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এবং মাত্র ৫১০ টাকার জন্য একজন খুন মামলার আসামীকে গাজীপুর হতে গ্রেফতার করা হয়।