চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী হাট বাজার পটিয়া পৌরসভার থানার হাট। এই হাট কে গিরে চারপাশে কামার শিল্পের সারি সারি দোকান।
পবিত্র ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে দা, চুরি, বটি, শান দিতে আনন্দ আর উল্লাসে মেতে ওঠেছে এই কামার শিল্পরা।
আর কয়েকদিন পর আসছে ঈদ-উল আযহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারের দোকানিরা। শুধু ব্যস্তই নই কামারেরা, তাদের দিন-রাত টুংটাং শব্দের ধ্বনি মুখরিত হয়ে ওঠেছে পটিয়ার হাট বাজার।
ভারী যন্ত্র দিয়ে হাতে হাতুড়ি নিয়ে পেটাচ্ছেন টকবগে লাল লোহার শিখা, ঝকঝকে উঠছে লোহার বানানো সব যন্ত্রপাতি।
আবার কেউ শান দিচ্ছেন ছুরি কিংবা বঁটি, কেউবা আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন। তারই মধ্যেই চলছে বিক্রির কাজ, অনেকেই আসছে নানান সামগ্রিক ক্রয় করার জন্য।
কামারদের কাজের চাপ পড়ে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে। প্রতি বছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকেন কামার শিল্পীরা। কোরবানি ঈদের ২০- ২৫ দিন আগ থেকেই ধুম লাগে বেচাকেনার ব্যস্ত হয়ে জান কাজে। কোরবানি দাতারা ছুটে আসেন কামারদের কাছে।
তবে এই বছর করোনার পরিস্থিতির কারণে আগের সেই আমেজ আর নেই তাদেরও। অন্যান্যা বছরের তুলনায় কোরবানি দাতার সংখ্যাও কমেছে যার পেক্ষিতে কামারদের কাজ কমেছে দুই তৃতীয়াংশ পর্যন্ত।
কামার ব্যবসায়ী ও কামার দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাধারণত পাঁচ ধরনের বঁটি, ছয় রকমের দা, ১৬ ধরনের ছুরি, সাত ধরনের কাবাব ছুরি, ১২ ধরনের জবাই ছুরি তৈরি করেন তারা। এছাড়া সান ও ধার দেওয়ার জন্য এক ধরনের লোহার স্টিকও বিক্রি করেন। প্রকারভেদে বঁটির দাম চারশ’ থেকে সাড়ে চার হাজার, গরু জবাইয়ের ছুরি পাঁচশ’ থেকে ১৮শ’, টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া অন্যান্য ছুরি দুইশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকায় বিক্রি করা হয়।
তারা আরও বলেন গত বারের তুলনায় এইবার কিছুটা কাজ কমেছে তাদের। করোনায় অনেকেই কোরবানি দিতে পারবেন না যার কারনে তারা এই বার কামারদের কাছে আসছেন না।
কামার সঞ্জয় দে বলেন, প্রতি বছর আমরা কোরবানির ঈদ কে সামনে রেখে রাত দিন কাজ করতাম এই বছর করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষের আয় রোজগার কমে গেছে, প্রায় অর্ধেক মানুষ এই বছর কোরবানি করবেনা। যার কারনে তারা দা, চুরি, বটি, শান দিতে আসছেন না।