কচুর লতি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ময়মনসিংহের ত্রিশালের অনেক কৃষক। দেশের বিভিন্ন স্থানে লতির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রি হয় প্রচুর। তবে সম্প্রতিকালে করোনা ভাইরাস এর কারণে লতি বিক্রির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা কিছুটা দুর্বল হয়ে পরেছে। বাজারে এখন আগের মত কচুর লতির চাহিদা নেই।
জানাযায়, গফাঁকুড়ি এলাকার স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহমান
বিশ বছর যাবত লতির ব্যবসার সাথে জড়িত। কয়েক বছর আগে বছর আগে লতি চাষ করে কোন রকম চলত তার সংসার। বর্তমানে তিনি পাইকারি লতি বিক্রি করেন।
সে লতির ব্যবসা করে এলাকায় জমি ক্রয় করে ছেলে মেয়েদের পড়া লেখার খরচ করেও সংসার চালাচ্ছে।
তিনি জানান, কৃষকদের লতিক্ষেত ক্রয় করে ঢাকার কাওরান বাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, টঙ্গী সুইস গেইটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করি।
লতি ব্যবসায়ী রহমান আরো জানান, আমার লতির ব্যবসায় ১৫ জন শ্রমিক বান্ডেলের কাজ করে এতে তাদের সংসার চলছে আগেই থেকে ভালো।
রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণি পড়ুয়া রহিম জানায়, লেখাপড়ার পাশাপাশি আব্দুর রহমান চাচার সাথে লতি বান্ডেলের কাজ করছি। আমাকে প্রতিদিন তিনশত টাকা পাই। তার মতো অনেকেই এখানে কাজ করে সংসারের হাল ধরেছেন। শুধু আব্দুর রহমান নয়। বীররামপুর গফাকুড়ি বাজারে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি লতির ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা অনেকেই নিজের জমিতে লতি চাষ করে বিক্রি করার পাশাপাশি অন্যের নিকট থেকে লতি কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রেরণ করে থাকেন। যেতই দিন যাচ্ছে ততোই এলাকার কৃষক লতি চাষের দিকে আগ্রহ বাড়ছে।