ফরিদপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা বিপদ সীমার ৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পদ্মানদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল, চরমাধদিয়া, ডিক্রিরচর ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি রাস্তা তলিয়ে গেছে। জেলায় আগাম বন্যার পানি প্রবেশ করায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে রোপা আমন, বোরো ধান এবং সবজী ক্ষেত। ফলে জেলায় এ পর্যন্ত ২হাজার ৪৬০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
এদিকে, ফরিদপুরে বন্যা কবলীত অসহায় ৪ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে বানভাষী ৪ শতাধিক পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাউল বিতরন করা হয়। ত্রান বিতরন কালে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাসুম রেজা, ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি সাংবাদিক কামরুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।
পদ্মা নদীর পাশাপাশি মধুমতি ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি বৃদ্ধিপাওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাড়াও সদরপুর ও চরভদ্রাসন, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে।নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরো কয়েকটি গ্রাম। এই চারটি উপজেলার ৩৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে। এছাড়াও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে মধুমতি নদীর তীরের পূর্ব-সালামাৎপুর গ্রাম মধুখালী উপজেলার কামারখালীর মধুমতি নদীর তীরে পূর্ব সালামতপুর হাসিব মৃধার বাড়ি পার্শ্ববর্তী রাস্তা সহ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
স্থানীয়রা জানান বালুভরা প্লাস্টিকের কিছু বস্তা ভাঙনে স্থানে ফেলা হলেও স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এবছর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হয়ে যেতে পারে পূর্ব সালামত পুরের রাস্তা ঘর বাড়ি সহ ফসলি জমি