রিজেন্ট গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট হাসপাতাল এই অপকর্মে লিপ্ত হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে প্রথম করেছে। আজ সারা বাংলাদেশসহ বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে ‘বাংলাদেশে বিশ্ব মহামারি করোনার মতো ভয়াবহ একটি ভাইরাসের পরীক্ষা নীরিক্ষা ছাড়াই স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট বিক্রি করা হয়’!
এ ঘটনা বাংলাদেশের সকল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অন্যতম একটি দুর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রণালয় দুর্নীতি, অনিয়ম ও নিয়ন্ত্রণহীনের দিক থেকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী মাইলফলক স্পর্শ করলো এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। ২০১৪ সালের পর থেকে আর কখনো লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়নি সনামধন্য বেসরকারি এই হাসপাতালটিকে! – এটিও বিশ্বে প্রথম!
দেশে করোনা দুর্যোগের শুরুতে সরকারের পক্ষ থেকে যখন প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে
বাধ্যতামূলক ভাবে করোনার চিকিৎসা সেবা দিতে কঠোর নির্দেশনা জাড়ি করা সত্ত্বেও তখন সেইসব প্রতিষ্ঠান চিকিৎসা সেবা দিতে রাজি হয়নি। তখন এই ভুয়া হাসপাতালটিই কিন্তু প্রথম সরকারের সাথে চিকিৎসা সেবার চুক্তি করে! ভেবে দেখুন তো, বিশ্ব যখন অজানা আতঙ্কে জুবুথুবু, অর্থনৈতিক সক্ষমতা যখন তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, বেকার হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি শ্রেণী পেশার মানুষ, তখন কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব; সরকারের পক্ষ থেকে না দেখে, না বুঝে; কে, কিভাবে দিল?- এ প্রশ্নও কিন্তু বিশ্বে প্রথম আলোচ্য।
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে লাইসেন্স নবায়ন না করা অবৈধ একটি হাসপাতাল কিভাবে সরকারের সাথে কাজ করার সুযোগ পায়- সেটা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করছে গোটা বিশ্ব!
এদিকে করোনার সংক্রমণ ও এই ভয়াবহ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে টিকা আবিস্কারের পিছনে ২৪ ঘন্টা যখন বিশ্বের তাবত বড় বড় উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন দেশগুলো গবেষণায় মত্ত, ঠিক তখন করোনা পজিটিভ এবং নেগেটিভ শনাক্ত করণ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা ছাড়াই রিপোর্ট প্রদানের মত ঘটনায় আতংকিত হয়ে পরেছে বহির্বিশ্ব! তারা মনে করছেন, এমন স্পর্শ কাতর একটি রোগের উপসর্গ সম্পন্ন হাজার হাজার রোগীকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা ছাড়াই নেগেটিভ এবং পজেটিভ রিপোর্ট দেয়ায় অনেক করোনা পজেটিভ ব্যক্তি নিজের অজান্তেই প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রামিত করতে পারেন। সঙ্গত কারণেই, অন্য দেশগুলো নিজেদের দেশকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এতে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার বিবেচনায় অধিক ঝুঁকিপূর্ন ২০টি দেশের একটি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আরও বেশি সংকটাপন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে না, এ কথা কে বলতে পারে?
