২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

সাবরিনার স্বামী আরিফকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরী ও তার সহযোগী সাঈদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ জুলাই) দুই দফা রিমান্ড শেষে তাদের তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা বেগম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তাদের আইনজীবীরা তাদের উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য আবেদন করেন। কারাবিধি অনুযায়ী তাদের চিকিৎসা সেবা নিতে কারাকর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।

২৩ জুন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বিমানবন্দর, আশকোনা ও গুলশান-২ এর কনফিডেন্স টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গত ২৪ জুন আরিফ চৌধুরী ও সাঈদ চৌধুরীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত।

এরপর বুধবার (১৫জুলাই) কারাগার থেকে ভার্চুয়াল আদালতে তাদের উপস্থিত দেখানো হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১২ জুলাই দুপুরে আলোচিত চিকিৎসক সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানার করা মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৩ জুলাই সাবরিনার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

করোনার নমুনা সংগ্রহ করে কোনো পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করেছে। একটি ল্যাপটপ থেকে গুলশানে তাদের অফিসের ১৫ তলার ফ্লোর থেকে এই মনগড়া করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন তৈরি করে হাজার হাজার মানুষের মেইলে পাঠায় তারা। তাদের কার্যালয় থেকে জব্দ ল্যাপটপ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর করোনা টেস্ট জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। কেজির টেস্টে জনপ্রতি নেয়া হতো সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। বিদেশি নাগরিকদের কাছে জনপ্রতি এক শ ডলার। এ হিসাবে করোনার টেস্ট বাণিজ্য করে জেকেজি হাতিয়ে নিয়েছে সাত কোটি ৭০ লাখ টাকা। করোনা মহামারিতে মানুষের জীবন নিয়ে এমন নির্মম বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত জেকেজির চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরী।

এসব অভিযোগে ২৩ জুন জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটির ৬ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। পুলিশি তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে করোনা সনদ জালিয়াতিতে ডা. সাবরিনার নাম আসে। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ও কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার।

১২ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিনই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল থেকে ডা. সাবরিনাকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

(Visited ৩৫ times, ১ visits today)

আরও পড়ুন

বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
চাল আমদানির সুযোগ পাচ্ছে ১২৫ প্রতিষ্ঠান
ঈদে বাড়ি যেতে মানতে হবে ১২ নির্দেশনা
মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, না মানলে শাস্তি
বাড়ছে করোনা আসছে কঠোর নির্দেশনা!
মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতু সাঁতরে মঞ্চে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলল কিশোরী
মাদারীপুর শিবচরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী