ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার সদর গ্রামের সাহেরা খাতুন(৫০) দশ বছর যাবৎ শিকলে বন্দি একটি ছোট মাটির ভাঙ্গা মাটির ঘরে পিলালের সাথে বাধাঁ অবস্থায় আছে। বাড়ির লোকজন বলছে তাকে জ্বীনে আছর করে ছিলো,মাথাই চুলের জট ছিলো। এ থেকে সে পাগল হয়েছে।
পরিবারটি এখন সর্বশান্ত প্রায়। ধোবাউড়া সদর গ্রামের রব্বে মিয়ার স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী ১০ বছর যাবৎ শিকলে বেধেঁ রাখা হয়েছে। অনেকদিন ডাক্তারী চিকিৎসা ও জ্বীন তাড়ানোর চিকিৎসা করা হয়েছে।
পরিবারের লোকজন জানান, দীর্ঘ চিকিসার পরেও সুস্থ না হওয়ায় মানসিক ভারসাম্য আরো অবনতি হয়েছে,যার দরুন ১০ বছর যাবৎ শিকলে বাধাঁ রয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসা ও সহযোগীতা পেলে সাহেরা খাতুন আবারো সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে আসবে।
সাহেরা খাতুনের স্বামী একজন দিনমজুর বাজারে বাজারে জালমুড়ি বিক্রি করে জীবন ধারন করছে। সহায় সম্পত্তি যাহা ছিলো বাড়ি ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই। অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় কাটছে ৫ সন্তানের জননী সাহেরার শিকলে বাধাঁ বন্দি জীবন।
সাহেরার মেয়ে সাজেদা আক্তার জানান, মায়ের অসুখের কারনে আমরা কেউ বেশি লেখাপড়া করতে পারি নাই।
স্বামী রব্বে মিয়া(৫০) জানান, স্ত্রীর চিকিৎসা করে আমি সর্বসান্ত, আমার সহায় সম্বল যা ছিলো শেষ করে দিয়েছি। ভালো চিকিৎসা দিতে পারলে হয়তো সে ভালো হয়ে যেত। কিন্তু আমি ও আমার সন্তান দিন মজুরের কাজ করতে চলে যায়,তাই তাকে শিকলে বেধেঁ রাখি নাহলে সে পালিয়ে যায়। যদি টাকা জোগাড় করতে পারি তাহলে তাকে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো এমন অবস্থায় তিনি সামাজের বৃত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছে।